জামানত হারিয়েছেন ৭৭ ভাগ প্রার্থী

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮ আসনে বিভিন্ন দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ১,৮৫৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে ১,৪২২ জন অর্থাৎ প্রায় ৭৭ শতাংশ (৭৬.৬১) প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন। ঘোষিত ফল বিশ্লেষণে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের ২৯৭ প্রার্থীর মধ্যে একজন ছাড়া সবাই জামানত হারিয়েছেন। এর পরেই বিএনপি। এককভাবে দলটির ২৫৬ প্রার্থীর মধ্যে হেভিওয়েটসহ মোট ১৫২ প্রার্থী এবং ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করা জামায়াতের ২২ প্রার্থীর মধ্যে ১১ জন জামানত হারিয়েছেন। জাতীয় পার্টির ১৫৪ প্রার্থীর মধ্যে ১৩৩ জন জামানত হারিয়েছেন। এ ছাড়া ১১৬ স্বতন্ত্র প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থীই জামানত হারাননি। ঘোষিত ফল বিশ্লেষণে আরো দেখা গেছে, নির্বাচনে ১ হাজারের কম ভোট পেয়েছেন ৭৪৯ প্রার্থী, একশর কম ভোট পেয়েছেন ১০৪ জন। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুসারে, ‘মনোনয়নপত্র কেনার সময় একজন প্রার্থীর জামানত হিসেবে ২৫ হাজার টাকা নির্বাচন কমিশনে জমা রাখতে হয়। নির্বাচনে কোনো আসনে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ না পেলে ওই প্রার্থীর জামানত হিসেবে রাখা ২৫ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়। নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ও জামানত ফেরত দেওয়া সংক্রান্ত যাচাই-বাছাইয়ের কাজটি রিটার্নিং কর্মকর্তারা করে থাকেন। জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার পর রিটার্নিং কর্মকর্তা একটি চিঠি দেন। এরই মধ্যে কোথাও কোথাও রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্তের ঘোষণা দিয়েছেন। ৩০ ডিসেম্বরের
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১১৬ জনের, জামানত রক্ষা হয়েছে ১৪ জনের এবং জয়লাভ করেছেন ৩ জন। এদিকে জাপার রওশন এরশাদ ময়মনসিংহ-৭ আসনে পেয়েছেন ২৯৩ ভোট। এ আসনে বিজয়ী প্রার্থী আওয়ামী লীগের মো. হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী পেয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজার ৭৩৪ ভোট। যদিও রওশন এরশাদ ময়মনসিংহ-৪ আসনে জয়ী হয়েছেন। বিএনপির জামানত হারানো প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কুমিল্লা-২ আসনে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নোয়াখালী-৫ আসনে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নরসিংদী-২ আসনে ড. মঈন খান, ঢাকা-৩ আসনে গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, চট্টগ্রাম-১০ আসনে আবদুল্লাহ আল নোমান, পটুয়াখালী-১ আসনে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ভোলা-২ আসনে হাফিজ ইব্রাহিম, নোয়াখালী-১ আসনে ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, ফরিদপুর-৩ আসনে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ এবং বরগুনা-২ আসনে খন্দকার মাহবুব হোসেন। ইসির তথ্য অনুসারে চট্টগ্রাম-১০ আসনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মারুফ কোনো ভোট পাননি। গোপালগঞ্জ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. উজীর ফকির পেয়েছেন ৪ ভোট। একই আসনের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. এনামুল হক পেয়েছেন ১০ ভোট। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী এসএম জিলানী পেয়েছেন ১২৩ ভোট।