চন্দনাইশে আমন ধানের বাজার নিয়ে দিশেহারা কৃষকরা

চট্টগ্রামের চন্দনাইশে চলতি বছরের উৎপাদিত আমন ধানের বাজার নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা। উৎপাদিত ধান বাজারে বিক্রি করে পরিবার-পরিজন নিয়ে সারা বছর কি খাবেন এ চিন্তায় দিশেহারা পড়েছে তারা।

চন্দনাইশ উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রমতে, এবার উপজেলার দুইটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নে প্রায় চার হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। এ এলাকায় আমন ও ইরি ধানের চাষাবাদ করা হলেও অনেক কৃষকই আমন ধানের ওপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধান বাজারে বিক্রি করে দেনা পরিশোধ শেষে বাকী ধান বছরের খাবার হিসাবে ধানের গোলায় মজুদ রাখে। গ্রাম-গঞ্জের কৃষকরা ছেলে-মেয়ে পড়াশুনা, কাপড়-চোপড়সহ পারিবারিক খরচ করার উৎস হচ্ছে ধান। কিন্তু এ বছর বাজারে ধানের দাম না থাকায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। চন্দনাইশ পৌরসভার জোয়ারা গ্রামের কৃষক শাহজাহান বলেন, এ মৌসুমে ১২০শতক জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ করেছেন তিনি। ফলনও মোটামোটি ভালো হয়েছে। কিন্তু জমির চাষ, সার,বীজ, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরিসহ অন্যান্য খরচ হয়েছে প্রতি কানি বা ৪০শতকে ১১/১২ হাজার টাকা। বর্তমানে বাজারে দাম না থাকায় দেনা পরিশোধ করে কৃষকদের হাতে কিছুই থাকবে না। ধান ব্যবসায়ী এয়াকুব মিয়া বলেন বাজারে চাউলের দামের উপর নির্ভর করে থাকে ধানের দাম। এছাড়া বড় বড় ব্যবসায়ীরা না আসনে ভাল দাম পাওয়া যায় না। অনেক ক্ষুদ্র ধান ব্যবসায়ীরা জানান, বিগত বছরের ধান গুদামে মজুদ থাকায় নতুন ধান কেনা তেমন কোন আগ্রহ নেই আড়তদারদের। চন্দনাইশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান ইমাম বলেন, আবহাওয়া টিকটাক থাকায় আমন ধান ভাল হয়েছে।বাজারে দাম কমে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি।