নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ভোটের দিন রাতে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার সাত আসামির পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ড আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ রোববার দুপুরে নোয়াখালীর ২ নম্বর আমলি আদালত এ আদেশ দেন।এর আগে সকালে আসামিদের জেলার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ২ নম্বর আমলি আদালতে নেওয়া হয়। পরে তাদের সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হলে বিচারপতি তাদের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিকে এ ঘটনায় ছালাউদ্দিন (৩৫) নামে আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত একটার দিকে ফেনীর সুলতানপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই নিয়ে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। গ্রেপ্তারকৃত অন্য আসামিরা হলেন-মূলহোতা রুহুল আমিন, ইব্রাহিম খলিল বেচু, জসিম উদ্দিন ওরফে জইস্যা (৩৫), হাসান আলী ভুলু (৬০), চর বাগ্গা গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে সোহেল (৩৫), মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে স্বপন (৩৫) ও একই গ্রামের আহমদ উল্লার ছেলে বাসু (৪০)।নির্যাতনের শিকার ওই নারী বর্তমানে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অভিযোগ, গত ৩০ ডিসেম্বর সকালে তিনি এলাকার একটি ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যান। এ সময় কেন্দ্রে থাকা আওয়ামী লীগের কয়েকজন যুবক তাকে তাদের পছন্দের প্রতীকে ভোট দিতে বলেন। তিনি তাতে রাজি না হলে যুবকেরা তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। ওইদিন রাত ১২টার দিকে ছালাউদ্দিন, সোহেল, বেচু, মোশারফসহ ১০ থেকে ১২ জনের একদল যুবক ঘরে ঢুকে প্রথমে স্বামী-স্ত্রী দুজনকে মারধর করেন। পরে স্বামী ও সন্তানদের বেঁধে রেখে ওই নারীকে ঘরের বাইরে পুকুরপাড়ে এনে গণধর্ষণ করেন। পরে এ ঘটনায় নির্যাতিতার স্বামী বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। সুবর্ণচরের চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন জানান, গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা প্রাথমিকভাবে গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।