অরিত্রীর আত্মহত্যায় প্রতিবেদন ফের পেছালো

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের দিন পিছিয়ে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত। আজ বুধবার মামলাটিতে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী নতুন এ দিন ধার্য করেন। মামলার তিনজন আসামির মধ্যে শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনা (৫১) জামিনে রয়েছেন। তিনি গত ৫ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার হয়ে চারদিন কারাভোগের পর গত ৯ ডিসেম্বর জামিন পান। মামলার অপর আসামি ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখাপ্রধান জিন্নাত আরা। তারা এখানও গ্রেপ্তার হয়নি। মামলায় বলা হয়, ভিকটিম অরিত্রী অধিকারী (১৪) ভিকারুনসিনা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। আসামি হাসনা হেনা তার শ্রেণি শিক্ষক। অরিত্রী গত ২ ডিসেম্বর পরীক্ষা থাকায় প্রতিদিনের ন্যায় স্কুলে যায়। যাওয়ার সময় বাসায় ব্যবহৃত একটি মোবাইল নিয়ে যায়। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে শিক্ষিকা আফসানা মোবাইল পেয়ে নিয়ে নেয় এবং পরদিন বাবা-মাকে নিয়ে আসতে বলে।পরীক্ষা শেষে ভিকটিম বাসায় এসে বিস্তারিত বর্ণনা জানাইলে পরদিন অরিত্রীকে নিয়ে বাবা-মা সকাল ১১টায় স্কুলে যায়। স্কুলে গিয়ে প্রথমে শ্রেণি শিক্ষক আসামি হাসনা হেনার কাছে গেলে সে তাদের অনেক সময় বসিয়ে রাখে পরে আসামি সহকারী প্রধান শিক্ষক ও শাখা প্রধান জিন্নাত আরার কাছে নিয়ে যায়। সেখানে জিন্নাত আরা তাদের দেখে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং বাদীর মেয়েকে টিসি দেবেন বলে হুমকি দেন। তখন তারা অরিত্রীকে নিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আসামি নাজনীন ফেরদৌসের রুমে গিয়ে দেখা করেন। ওই সময় ভিকটিম অরিত্রী তার পা ধরে ক্ষমা প্রার্থণা করেন। মামলায় আরও বলা হয়, বাদী ও তার স্ত্রী মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তারাও ক্ষমা চান। কিন্তু আসামি কোন কর্ণপাত করেননি। একটু পরে লক্ষ্য করেন মেয়ে অরিত্রী রুমে নেই। বাদী ও তার স্ত্রী বাইরে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে বাসায় এসে রুমে দেখতে পান। এর পর বাদী কাজে চলে যান। কিছু সময় পর বাদীর স্ত্রী মোবাইলে জানায়, অরিত্রীর রুম বন্ধ, খুলছে না এবং সাড়া শব্দও পাওয়া যাচ্ছে না। পরবর্তীতে বাসার কেয়াটেকার শুখদেব বাথরুমের ভেন্টিলেটার দিয়ে রুমে প্রবেশ করে অরিত্রীকে ওড়না দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে দেখতে পেয়ে রুম খুলে দেয়।