লিপস্টিক দেওয়ার কথা বলে শিশুদের ঘরে নেয় মোস্তফা

ধর্ষণের উদ্দেশ্যে শিশুদের লিপস্টিক দিয়ে সাজানোর কথা বলে ঘরে নিয়ে যায় ঘাতক মোস্তফা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর আসামিরা এমন তথ্যই দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়ারী বিভাগের ডিসি ফরিদ উদ্দিন। রাজধানীর ডেমরায় দুই শিশুকে হত্যার ঘটনায় মূল আসামিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে মূল আসামি গোলাম মোস্তফা ও আজিজুল বাওয়ানিকে ডেমরা ও যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বুধবার ফরিদ উদ্দিন জানান, ‘আসামিদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে জেনেছি, ধর্ষণের উদ্দেশ্যে শিশুদের লিপস্টিক দিয়ে সাজানোর কথা বলে ঘরে নিয়ে যায় আসামিরা। তারা রুমের মধ্যে ইয়াবা সেবন করে এবং ধর্ষণের পরিবেশ তৈরি করে। শিশুদের চিৎকার যাতে বাইর থেকে শোনা না যায় সেজন্য জোরে গান ছেড় দেয় তারা। পরে ধর্ষণের চেষ্টা করলে শিশুরা চিৎকার শুরু করে। একপর্যায় আসামিরা শিশুদের গলা টিপে হত্যা করে।’ডিসি জানান, মোস্তফার স্ত্রী বাহির থেকে বাসায় ফেরার পর শিশুদের জুতা দেখে সন্দেহ করেন। আর স্বামী মোস্তফাকে অস্বাভাবিক দেখে স্ত্রী প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলাপ করে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মাদক মামলা রয়েছে। তিনি আরও জানান, আসামিদের আজই আদালতে পাঠানো হবে। তারা সেখানে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেবেন। আইন অনুযায়ী, ঘটনা প্রমাণে আরও যা যা লাগে আমরা সেটা করবো। এ ঘটনায় মোস্তফার স্ত্রী আঁখি খানম ও তার ছেলে জিহাদকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান ফরিদ উদ্দিন। সোমবার রাতে ডেমরার শাহজালাল রোডের এসি গলির আবুল হোসেনের বাড়ির নিচতলার ভাড়াটিয়া গোলাম মোস্তফার কক্ষ থেকে ওই দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত শিশুরা হলো- ডেমরার শাহজালাল রোডের এসি গলির মৃত কালাম মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া পটুয়াখালীর দশমিনা থানার আলীপুরা গ্রামের মো. ফরিদুল ইসলামের মেয়ে ফারিয়া আক্তার দোলা (৫) ও ওই এলাকার রশিদের বাড়ির ভাড়াটিয়া ঝালকাঠি থানার বাউকান্দি গ্রামের পলাশের মেয়ে নুসরাত জাহান (সাড়ে ৪)।