মুশফিক বাদ, টিকে রইলেন সাকিব

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসরে প্লে-অফের প্রথম খেলায় সাকিবের ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে মুশফিকুর রহিমের চিটাগং ভাইকিংস। তবে জিতেও স্বস্তিতে থাকতে পারবেন না সাকিবরা। কারণ ফাইনালে যেতে আরও একটি বাধার সম্মুখীন হতে হবে তাদের। রংপুর-কুমিল্লা ম্যাচে যারা হারবে তাদের সঙ্গে খেলেই ফাইনালে যেতে হবে সাকিবদের। আজ সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চিটাগং ভাইকিংসের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৫ রান করে চিটাগং। জবাবে খেলতে নেমে ছয় উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সাকিবরা। ব্যাট করতে নেমে চিটাগং ভাইকিংসের তিন ব্যাটসম্যান ছাড়া আর কেউই দেখেননি দুই অঙ্কের মুখ। সর্বোচ্চ ৪০ রান আসে মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকে। ৩৫ বল খেলে ইনিংস শেষ হওয়ার এক বল আগে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। ওপেনিংয়ে নেমে ক্যামেরুন ডেলপোর্ট করেন ৩৬ রান। এ ছাড়া সাদমান ইসলামের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলা মুশফিকের ব্যাট আজ হাসেনি। মাত্র আট রান করে সুনীল নারাইনের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান চিটাগংয়ের অধিনায়ক। ইয়াসীর আলী, দাসুন শানাকা ও রবি ফ্রাইলিংক দুই অঙ্কের ঘরেই পৌঁছাতে পারেননি। ঢাকার হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন সুনীল নারাইন। তিনি একাই তুলে নেন চার উইকেট। একটি করে উইকেট নেন রুবেল হোসেন ও কাজী অনিক। চিটাগংয়ের দেওয়া টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত হয় ঢাকার। নারাইন-থারাঙ্গা মিলে প্রথম চার ওভারেই তুলে নিলেন ৪৪ রান রান। তার মধ্যে নারাইনের একার রানই ছিল ৩১। মাত্র ১৬ বলে ৩১ রান করেই খালেদের বলে আউট হয়ে ফিরে যান সাজঘরে। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে রনি তালুকদার ২০ রান করেন। তবে গুরত্বপূর্ণ এ ম্যাচে একেবারে খাঁলি হাতে ফিরে যান ঢাকা ডায়নামাইটসের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ক্রিজে এসেই খালেদ আহমেদের বলে ক্যামেরুন ডেলপোর্টের হাতে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। সর্বোচ্চ ৫১ রান আসে উপুল থারাঙ্গার ব্যাট থেকে। ওপেনিংয়ে নেমে ঢাকার জয়ের ভিত গড়ে তবেই আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। দলকে জিতিয়ে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন পোলার্ড ও নুরুল হাসান। খালেদ আহমেদ চার ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন। নাঈম হাসান শিকার করেন এক উইকেট। প্লে-অফ থেকে বাদ পড়লেও পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলেছিল চিটাগং ভাইকিংস। গ্রুপপর্বে ১২ ম্যাচের মধ্যে সাতটি ম্যাচেই জিতেছিল মুশফিকুর রহিমরা।