বাংলাদেশ থেকে দক্ষ শ্রমিক নিতে চায় কাতার

কাতারের জাতীয় ভিশন-২০৩০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নির্ধারিত প্রকল্পে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ শ্রমিক নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে দেশটির সরকার। গত সোমবার দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহম্মেদ এবং দেশটির শ্রম ও সমাজ উন্নয়ন মন্ত্রী ইউসুফ বিন মুহাম্মদ আল উসমান ফাখরুর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর এ কথা জানান রাষ্ট্রদূত। বৈঠকের পর রাষ্ট্রদূত আসুদ আহম্মেদ জানান, শ্রম সংক্রান্ত বিষয় এবং সম্ভাব্য খাতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নেওয়ার ব্যাপারে কাতারের শ্রম ও সমাজ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় চূড়ান্তভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির শ্রমমন্ত্রী। রাষ্ট্রদূত জানান, কাতারের বিভিন্ন পরিসেবার কাজে প্রফেশনাল কর্মীদের নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে। যেমন-ডাক্তার, প্রকৌশলী, আইটি বিশেষজ্ঞ, বিনিয়োগকারী। এর বাইরে কিছু প্রশাসনিক কাজে আধা-দক্ষ বাংলাদেশি শ্রমিক নেওয়ার কথা ভাবছে তারা। ‌‘আগামী ২০২২ সালে অনুষ্ঠেয় কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বিভিন্ন প্রকল্পে যেসব অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল তাদের চাহিদা কমে যাবে। এরপর আগামী ২০৩০ সালে কাতারের ‌‘জাতীয় ভিশন’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত মানুষের প্রয়োজন পড়বে। আর এ কারণে কাতারের এসব জ্ঞানভিত্তিক প্রক্ল্পগুলোতে বাংলাদেশের দক্ষ নাগরিকরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।’ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‌‘খুব শিগগিরই কাতার একটি বড় প্রকল্পে দক্ষ কর্মী নেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে। যেখানে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মীদের নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। তাদের এই প্রয়োজনে আমাদের দক্ষ কর্মীদের প্রস্তুত রাখতে হবে।’ ‘কাতারের এসব দক্ষ ও প্রতিভাবান মানুষের প্রয়োজন মেটাতে বাংলাদেশের একটি বড় সম্ভাবনা রয়েছে। এর বাইরে দেশটিতে কর্মরত শ্রমিকদের আরবী ভাষায় দক্ষ করে তুলতে বিভিন্ন দেশে দেশটি প্রশিক্ষণশালা গড়ে তুলছে।’ তিনি আরও বলেন, ‌‌‌‘এ ধরনের প্রস্তুতিমূলক অফিস গড়ে তুলতে কাতার বাংলাদেশকে নিশ্চয়তা দিয়েছে।’ কাতারে বর্তমানে চার লাখের মতো বাংলাদেশি নাগরিক বসবাস করছেন। বর্তমানে কাতারের উন্নয়নে এসব বাংলাদেশিরা নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। তাই কাতারের এই উন্নয়নযজ্ঞে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ আরও বেশি প্রয়োজন বলে কাতার বিশেষজ্ঞদের দাবির কথা জানান রাষ্ট্রদূত। এছাড়া চলতি বছরের অক্টোবর মাসে দোহায় ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ পণ্যের প্রদর্শনী হবে। যেখানে বিভিন্ন উপকরণ, পুষ্টিকর খাবার, আইটিসহ বাংলাদেশি বিভিন্ন সংগঠন তাদের পণ্য নিয়ে  প্রদর্শনীতে অংশ নেবেন।