পৃথিবীটা ক্ষণিকের, প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রিজভী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেয়ালের ভাষা পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী-আপনি দেয়ালের ভাষা পড়ুন। চারদিকের মানুষ চোখে মুখে কি বলছে বোঝার চেষ্টা করুন। পৃথিবীটা ক্ষণিকের। কিন্তু কর্মফল অনন্তকালের। এখনো সময় আছে। এক বছরে বহু নির্যাতন বহু কষ্ট দিয়েছেন খালেদা জিয়াকে। চিকিৎসার সুযোগটুকুও দেননি। এবার খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন।’ কারাদণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করার নামে টানা হেঁচড়া করে নির্যাতন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী।  তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সাজানো মিথ্যা মামলায় এক বছর পরিত্যক্ত নির্জন কারাগারে বন্দী রাখা হয়েছে। খালেদা জিয়ার বয়স ৭৩ বছর।  প্রচণ্ড ঝুঁকিপূর্ণ অসুস্থ শরীর। একা চলতে পারেন না। আদালতে বা হাসপাতালে আনতে গেলে হুইল চেয়ারই ভরসা। তারপরও টেনে হিঁচড়ে জবরদস্তি করে আনা হচ্ছে শেখ হাসিনার নির্দেশিত ক্যাংগারু কোর্টে।’ বিএনপির এই নেতা আভিযোগ করেন, ‘গত বৃহস্পতিবার তাকে আদালত নামের কারাগারের আলো-বাতাসহীন ছোট্ট একটি রুমে এনে এক ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। তার অসুস্থতা দিনে দিনে বাড়লেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। পুরনো রোগগুলো বেড়ে গেছে। চোখেও প্রচণ্ড ব্যথা, পা ফুলে গেছে। নির্যাতন সহ্য করতে গিয়ে তার পূর্বের অসুস্থতা এখন আরও গুরুতর রূপ ধারণ করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, আপনি অনুগ্রহ করে ফেরাউন-নমরূদ-হিটলার অথবা কল্পরাজ্যের হিরকের রাজাকে টেক্কা দেওয়ার প্রতিযোগিতা করবেন না।  জালিম এসমস্ত শাসকরা আজও মানুষের মধ্যে ধিকৃত।  দুই কোটি টাকার মিথ্যা মামলায় এক বছর তো কারারুদ্ধ করে রাখা অন্যায়, অবিচার ও জুলুম। মিথ্যা দণ্ড দিয়ে তাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার সাধ পূর্ণ করলেন- এবার মুক্তি দিন।’ খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী।