অনেক সময় ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে অ্যাকিউট ইউরিক অ্যাসিড আর্থ্রাইটিস হতে পারে, যার আরেক নাম গাউট। এতে বুড়ো আঙুলের গোড়া লাল হয়ে ফুলে যায় এবং প্রচণ্ড ব্যথা হয়; বেড়ে যায় যন্ত্রণা। এমনকি জ্বর এসে যেতে পারে। হাঁটু, গোড়ালি এবং পায়ের ছোট অস্থিসন্ধি, হাত, কনুই থেকে শুরু করে কবজি, আঙুলের গাঁটে গাঁটে ব্যথা হতে পারে। চাপ পড়লেই ব্যথা বেড়ে যায়।তাই এ সময় বরফের সেঁক এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে বলা হয়। খেতে হয় ওষুধও। এ ছাড়াও এ সমস্যা থেকে হতে পারে ইউরেট নেফ্রোপ্যাথি। এতে ইউরিক অ্যাসিড ক্রিস্টালের মতো হয়ে কিডনিতে জমে গিয়ে ইউরিয়া-ক্রিয়েটিনিন বাড়িয়ে দেয়। এটির আবার ধরন দুটি। ক্রনিক ইউরেট নেফ্রোপ্যাথি এবং অ্যাকিউট ইউরেট নেফ্রোপ্যাথি।অ্যাকিউট ইউরেট নেফ্রোপ্যাথি সাধারণত ব্লাড ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা যেতে পারে। সেই ক্ষেত্রে প্রস্রাবের গতি এবং কিডনির সুস্থতা ঠিক রাখতে ক্যানসারের চিকিৎসা শুরুর আগে ইউরিক অ্যাসিডের পরীক্ষা করে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমিয়ে রাখার ওষুধ দেওয়া হয়। এটির সঙ্গে যথেষ্ট পরিমাণে ইনট্রাভেনাস ফ্লুইড দেওয়া হয়। এ ছাড়া ইউরিক অ্যাসিড থেকে কিডনিতে পাথরও হতে পারে। এটি ইউরেটার বা ব্লাডারে নেমে এসে প্রস্রাবের গতিরোধ, রক্তক্ষরণ করতে পারে। রোগের ক্ষেত্রে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। অসুস্থতার শুরুতেই চিকিৎসা নিলে যে কোনো রোগ সহজে নিরাময় হয়।লেখক : বিশিষ্ট হারবালগবেষক ও চিকিৎসক০১৬৭০৬৬৬৫৯৫, ০১৯১১৩৮৬৬১৭
সর্বশেষ
সুনামগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
দর্পন টিভি - 0
সুনামগঞ্জের শাল্লায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে উপজেলার জনস্বাস্থ্যের নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদে...