মুক্তার রয়েছে ঔষধিগুণ

মুক্তা অঙ্গসজ্জার উপাদান হিসেবে নারীদের কাছে বেশি জনপ্রিয়। অনেকে আংটিতেও মুক্তা ব্যবহার করে থাকেন। মুক্তা কোনো খনিজ পদার্থ নয়। এটি এক ধরনের ঝিনুকের মধ্যে পাওয়া যায়। এ ঝিনুকের প্রাপ্তিস্থান বিভিন্ন সাগরে। চীন, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলংকা, জাপান, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সমুদ্রে ঝিনুকের মধ্যে এ মুক্তা পাওয়া যায়। মুক্তার ব্যবহার সাধারণত আংটিতে এবং অঙ্গসজ্জায় হলেও এটির ঔষধি উপাদানের কথা অনেকেরই অজানা। মুক্তার ইংরেজি নাম চবধৎষ; বৈজ্ঞানিক নাম গুঃরষঁং গধৎমধৎরষরভবৎঁং; বাংলায় মুক্তা, ইউনানি নাম মারওয়ারিদ, আয়ুর্বেদিক নাম মুক্তা। মুক্তা শারীরিক শক্তিবর্ধক ও উদ্দীপক। বিশেষ করে শরীরের প্রধান অঙ্গগুলোর শক্তিবর্ধক হিসেবে কাজ করে। মুক্তা ঔষধি হিসেবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই কুশতা বা ভস্ম করে যথাযথ নিয়মে শোধন করে তারপর ব্যবহার করতে হবে। মুক্তাসহ ওষুধ তৈরির নিয়মÑ মুক্তা ভস্ম ১০ গ্রাম, গুলে গাওজবান ১০০ গ্রাম ও প্রয়োজনীয় পরিমাণ গরুর দুধ। এ তিনটি উপদানের সংমিশ্রণে বড়ি তৈরি করে নিতে হবে। এতে হৃদকম্প, হৃদযন্ত্রের দুর্বলতা, স্নায়বিক ও যৌন দুর্বলতা নিরাময়ে উপকারী। মাত্রাÑ ৬০-১২০ মিলিগ্রাম। ওষুধ তৈরির আরেকটি নিয়ম হলোÑ মুক্তা ২৫ গ্রাম, রুমি মস্তগি ২৫ গ্রাম, আম্বর ১০ গ্রাম, মোমিয়ায়ি ২৫ গ্রাম, লবঙ্গ ২৫ গ্রাম, যত্রিক ২৫ গ্রাম, জুন্দেবেদেস্তর ২০ গ্রামসহ আরও অন্যান্য উপাদানের সমন্বয়ে যথাযথ নিয়মে ট্যাবলেট তৈরি করে নিতে হবে। এটি সাধারণত বলকারক ও শক্তিবর্ধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।