বাবার নির্মম নিষ্ঠুরতার শিকার হলো মনিরা নামে এক শিশু। মনিরাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর হাঁড়িতে লুকিয়ে রাখে বাবা নামের নরপশু রফিকুল। গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গত রবিবার রাতে শিশু মনিরার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গতকাল সোমবার গাজীপুর মহানগরের নীলেরপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রফিকুলকে। গ্রেপ্তারের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নিজ কন্যা মনিরাকে শ্বাসরোধে হত্যা এবং হত্যার কারণ বর্ণনা করে রফিকুল। রফিকুলের অভিযোগ, শিশুর মা নাসরিন কারখানার এক সহকর্মীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এতে সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। এ নিয়ে গত শুক্রবার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে কাপাসিয়ার চাপাতে গ্রামের বাড়িতে চলে যায়। কন্যা মনিরাকে হত্যা ও আত্মহত্যার সঙ্কল্প করে পরের দিন শনিবার শ্রীপুরের গিলারচালা এলাকার ভাড়া বাড়িতে আসে। তবে ওই দিন মনিরাকে হত্যার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। গত রবিবার বিকাল সোয়া ৪টায় দিকে মনিরাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। তবে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে মেয়ের লাশ ঘরের খাটের নিচে একটি হাঁড়ির ভেতর রেখে পালিয়ে যায়। রফিকুলের বরাত দিয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, কাপাসিয়া উপজেলার হাইলজোড় গ্রামের গোলাপ হোসেনের মেয়ে নাসরিনের তিনবার বিয়ে হয়। সবশেষ গত সাড়ে ৬ বছর আগে কাপাসিয়ার চাপাত গ্রামের মাইনউদ্দিনের ছেলে রফিকুলের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। বিয়ের পর তাদের একমাত্র কন্যা মনিরার জন্ম হয়। ২০১৪ সালে ওমান যায় রফিকুল। স্বামীর অনুপস্থিতিতে এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ায় নাসরিন। এ খবর পেয়ে দেশে ফিরে আসে রফিকুল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। ২০১৭ সালে এই দম্পতি কাপাসিয়া থেকে গাজীপুর সদর উপজেলার হোতাপাড়া এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে। সেখানেই একটি কারখানায় কাজ নেয় নাসরিন। কিছু দিন না যেতেই তিনি ওই কারখানার আরেক শ্রমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায়। ওই শ্রমিকের সঙ্গে চতুর্থবার বিয়ে হয় তার। তবে এর চার মাসের মাথায় আবার ফিরে আসে রফিকুলের সংসারে। পরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শ্রীপুর উপজেলার গিলারচালা গ্রামের হাজী ইয়াসিন মিয়ার ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করে রফিকুল। স্বামী-স্ত্রী দুজন স্থানীয় ডেনিম্যাক নামক কারখানায় চাকরি নেয়। আর শিশুকন্যাকে ভর্তি করে স্থানীয় মোহাম্মদী কিন্ডারগার্টেনের প্লে শ্রেণিতে। শ্রীপুর থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসান জানান, গত রবিবার সন্ধ্যায় নাসরিন আক্তার মুঠোফোনে মনিরা নিখোঁজের বিষয়টি থানায় জানায়। পরে পুলিশ রাত পৌনে ৯টার দিকে ভাড়া বাড়ির ঘরের ভেতর খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একপর্যায়ে খাটের নিচে হাঁড়ির ভেতর থেকে মনিরার লাশ উদ্ধার কর
সর্বশেষ
সুনামগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
দর্পন টিভি - 0
সুনামগঞ্জের শাল্লায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে উপজেলার জনস্বাস্থ্যের নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদে...