বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক মান্নার মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৮ সালের এই দিনে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান মান্না। দেখতে দেখতে মান্না ছাড়া ১১টি বছর পার করেছে রূপালি ভুবন। ১৯৮৪ সালে ‘তওবা’ ছবির মধ্য দিয়ে রূপালি ভুবনে যাত্রা শুরু করেন প্রয়াত এই অভিনেতা। চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছেন মান্না। তার সঙ্গে জুটি হয়ে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী, শাবনুর, পূর্ণিমা, মুনমুন, শিল্পী, লিমাসহ অনেকে। মান্নার সঙ্গে মৌসুমী প্রথম জুটি বাঁধেন ‘লুটতরাজ’ ছবিতে। এরপর এই জুটি উপহার দিয়েছেন ৮০টি ছবি। মান্নার ১১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করলেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। দৈনিক আমাদের সময় অনলাইনকে মৌসুমী বলেন, ‘মান্না ভাইকে নিয়ে বলা শুরু করলে, শেষ হবে না। তার সঙ্গে ৮০টির মতো ছবিতে অভিনয় করেছি। তিনি আমার খুব ভালো একজন বন্ধু ছিলেন। আমাদের দুজনার মধ্যে বোঝাপড়াটাও ছিল বেশ। চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গেই মান্না ভাইয়ের সম্পর্ক ছিল দারুণ। তিনি সব সময় হাসিখুশি থাকতে পছন্দ করতেন এবং অন্যদেরও হাসিখুশি রাখতেন। তার এই গুণের কারণে খুব সহজে সবাই তাকে আপন করে নিতেন।মান্না ভাইয়ের চিন্তা ভাবনায় ছিল শুধুই চলচ্চিত্র। সিনেমায় অশ্লীলতার কারণে যখন কাজের জায়গা কমে যাচ্ছিল, ঠিক তখন এই শিল্পকে বাঁচাতে তিনি শক্ত হাতে হাল ধরেছিলেন। তিনি যে ছবির কাজে হাত দিয়েছিলেন, তাই সুপারহিট হয়েছে। একটা শট দেওয়ার পর, সেই শটটা নিয়ে আবারও ভাবতেন মান্না। আরও ভালো করা যায় কি-না, এ নিয়ে ইউনিটের লোকজনদের সঙ্গে খোলামেলা কথাও বলতেন তিনি। শুধু তাই না, চলচ্চিত্রের যে কোনো আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এই মা্নুষটি। আজ তিনি বেঁচে থাকলে, সিনেমার এই হাল আমাদের দেখতে হতো না। এ মানুষটি কখনই অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেনি। সবচেয়ে বড় কথা হলো, মান্না ভাইয়ের পৃথিবীটা ছিল সিনেমা ঘিরে। মৃত্যুর একদিন আগেও এফডিসিতে শুটিং করে, হাসিমুখে বিদায় নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরদিন শুনতে পাই, তিনি আর নেই। এমন দুঃসংবাদের জন্য আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না। মান্নাবিহীন পুরো সিনেমা, কেমন যেন ছন্নছাড়া মনে হয়।’
সর্বশেষ
সুনামগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
দর্পন টিভি - 0
সুনামগঞ্জের শাল্লায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে উপজেলার জনস্বাস্থ্যের নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদে...