যেন কিসের তাড়া! দলীয় শূন্য রানে তামিম ইকবাল এবং এক রানে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে বিদায় নিলেন সৌম্য সরকার। তাও টিম সাউদির করা প্রথম ওভারেই। যে পিচে কিউইরা চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে ওই পিচই যেন টাইগারদের জন্য মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়ালো। মাত্র এক রান যোগ হতেই তামিম-সৌম্যর পথ অনুসরণ করলেন লিটন দাসও। মাথার উপর ৩৩০ রানের বিশাল চাপ। যেখানে দেখে শুনে শুরু করার কথা সেখানে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ের কোনো ব্যাখ্যা হয় না। দ্বিতীয় বলেই সাউদির করা বলে কাভারে শট খেলতে গিয়ে তামিম ধরা দেন উইকেটরক্ষকের হাতে। ভাগ্যিস তৃতীয় বল ওয়াইড হওয়াতে এক রান যোগ হয়েছিল, না হয় শূন্য রানেই হারাতে হতো দুই উইকেট। ওয়ানডাউনে ব্যাটিং করতে এসেই বোলিংয়ের লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন সৌম্য। তৃতীয় ওভারে আবার সাউদির আক্রমণ। এবার তার বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন লিটন দাস। তবে দেরি করায় আম্পায়ার লিটনকে রিভিউ নেওয়ার সুযোগ দেননি। তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় তিনি ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে দুই রান! অবশ্য তামিম-সৌম্য থেকে লিটন ভাগ্যবান, কারণ তার ব্যাট থেকে এসেছে এক রান। এ দুজন তো রানের খাতা খোলারও সুযোগ পাননি। ডানেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভাল মাঠে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ৩৩০ রান করেছে নিউজিল্যান্ড। ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় ভোর চারটায় শুরু হয়। ডানেডেনে আগে ব্যাটিং করে নেওয়া রানের মধ্যে এটা চতুর্থ সর্বোচ্চ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৩৬০ রান করেছিলেন কিউইরাই। স্বাগতিকদের হয়ে হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন তিনজন ব্যাটসম্যান। রস টেইলর সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন। এ ছাড়া নিকোলস ৬৪ ও টম লাথাম ৫৯ রান করেন। শেষ দিকে গ্র্যান্ডহোম, লাথাম ও নিশামের ঝড়ে নিউজিল্যান্ডের রান চলে যায় ধরাছোয়ার বাইরে। গ্র্যান্ডহোম মাত্র ১৫ বলে ৩৭ এবং নিশাম ২৪ বলে ৩৭ রান করেন। ওপেনিংয়ে নেমে আগের দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করা গাপটিল ২৯ ও মুনরো আট রান করেন। স্যাটনার মাত্র ৯ বলে ১৬ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ফিল্ডিং করতে নেমে কেন উইলিয়ামসনের পরিবর্তে খেলতে নামা মুনরোকে ফিরিয়ে লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি। আগের দুই ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান গাপটিলকে ফিরিয়ে সাইফুদ্দিন এনে দিয়েছিলেন আরও স্বস্তি। না এটুকুই। বেশি স্বস্তিতে থাকার কোনো কারণ নেই। এর পরও যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে নিউজিল্যান্ড। ২১ রানে প্রথম উইকেট এবং ৫৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারালেও ২২ ওভারেই ১০০ রান তুলে ফেলে। মোস্তাফিজের ওপর বেশি চওড়া হয়েছেন কিউই ব্যাটসম্যানরা। তার ১০ ওভারে তুলে নিয়েছেন ৯৩ রান! ফিজ ওভার প্রতি দিয়েছেন ৯.৩০ রান করে। যেটা তার নামের সঙ্গে বেমানান। ফিজের ঝুলিতে জমা হয় দুটি উইকেট। সাইফুদ্দিনের ১০ ওভারে ৪৮ রান নিতে পেরেছে স্বাগতিকরা। গাপটিল ২৯ রানে তার শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান। মাশরাফি ১০ ওভার বলে করে ৫১ রান দিয়ে নিয়েছেন একটি উইকেট। এ ছাড়া মিরাজ ও রুবেল নেন একটি করে উইকেট। রুবেল ৯ ওভার বল করে ৬৪ রান খরচ করেন। আগের দুটি ম্যাচের একাদশ থেকে একটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে টিম বাংলাদেশ। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়ে একাদশ থেকে ছিটকে গেছে মোহাম্মদ মিথুন, তার পরিবর্তে সুযোগ পেয়েছেন পেসার রুবেল হোসেন।
সর্বশেষ
সুনামগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
দর্পন টিভি - 0
সুনামগঞ্জের শাল্লায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে উপজেলার জনস্বাস্থ্যের নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদে...