জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দেয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা বেগম ব্রিটেনের নাগরিকত্ব হারাতে যাচ্ছেন। ২০১৫ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে আইএসে যোগ দিতে সিরিয়ায় পাড়ি জমান তিনি। ব্রিটেনের হোয়াইট হলের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ১৯ বছর বয়সী শামীমা বেগমের নাগরিকত্ব বাতিল করা হবে। তবে ১৮ বছর পার হওয়ায় অন্য দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে পারবেন শামীমা। শামীমার পারিবারিক আইনজীবী তাসনিম আকুঞ্জে জানিয়েছেন, তারা ব্রিটেনের এমন পদক্ষেপে হতাশ হয়েছেন। এমন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সব ধরনের আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি। সম্প্রতি দেশে ফেরার আকুতি জানিয়েছিলেন শামিমা। আইএসে যোগ দেয়া নিয়ে অনুতপ্ত নন বরং তিনি তার সন্তানের জন্যই দেশে ফিরতে চান। তবে সিরিয়ার একটি আশ্রয় শিবিরে জন্ম হওয়ায় তার ছেলে সন্তানের নাগরিকত্ব কি হবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এদিকে, শামিমার সন্তানের নাগরিকত্বের বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের মন্ত্রী জেরেমি রাইট বলেছেন, শামীমা বেগমের সন্তানের নাগরিকত্ব সোজা-সাপ্টা কোনো বিষয় নয়। তাকে তার কর্মকাণ্ডের জবাবদিহি করতে হবে। সে যদি এদেশে ফিরে আসতে পারেও, তাকে বুঝতে হবে সে যা করেছে তার জন্য তাকে জবাব দিতে হবে। গত সপ্তাহে শামীমা বেগমকে সিরিয়ার একটি আশ্রয় শিবিরে খুঁজে পাওয়া যায়। আইএসের সর্বশেষ ঘাঁটি বাঘুজ থেকে পালিয়ে তিনি ওই শিবিরে আশ্রয় নেন। সেখানেই তার ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। সিরিয়ায় গিয়ে শামীমা বেগম নেদারল্যান্ডস থেকে আসা একজন আইএস যোদ্ধাকে বিয়ে করেছিলেন। ওই যোদ্ধা অন্য ধর্ম থেকে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিন এলাকা থেকে আরও দুজন বান্ধবীসহ শামীমা বেগম আইএসে যোগ দিতে সিরিয়ায় পালিয়ে গিয়েছিলেন। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হলেও বাংলাদেশের পাসপোর্ট নেই শামীমা বেগমের। তিনি কখনও বাংলাদেশেও আসেননি। শামীমা বেগমের সন্তানের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এটা বলা যায় যে, কোনো ব্রিটিশ বাবা-মায়ের ব্রিটেনের নাগরিকত্ব বাতিল হওয়ার আগে সন্তান জন্মালে সে ব্রিটেনের নাগরিক বলেই গণ্য হবে। তবে এই শিশুটিরও নাগরিকত্ব বাতিল করতে পারে যুক্তরাজ্য।
সর্বশেষ
সুনামগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
দর্পন টিভি - 0
সুনামগঞ্জের শাল্লায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে উপজেলার জনস্বাস্থ্যের নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদে...