যে কারণে সরাসরি ভারত গেলেন না সৌদি যুবরাজ

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের এশিয়া সফর নিয়ে এরইমধ্যে শুরু হয়েছে নানা সমালোচনা। আর হঠাৎ করে তার পাকিস্তান সফর শেষেই রিয়াদে চলে যাওয়া যেন আলোচনার আগুনে ঘি ঢালার মতো। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের এমন পদক্ষেপের পেছনের রহস্য বের করার চেষ্টা করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস। ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান সফর শেষ সরাসরি ভারতে যাননি যুবরাজ। তাই তিনি দেশে ফিরে যান। সংবাদমাধ্যমটির দাবি, কাশ্মীর ইস্যু এবং সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে ভারতের অবস্থান সম্পর্কে উপলব্ধি জোরালো করতে তিনি দেশে ফিরে গিয়েছিলেন। পরে সেখান থেকে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে দিল্লিতে আসেন তিনি। তবে তার দেশে ফিরে যাওয়া সম্পর্কে পরিষ্কারভাবে কিছু জানানো হয়নি। এদিকে যুবরাজের ভারত সফরের আগে সোমবার সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবেইর জানান, তাদের উদ্দেশ্য হলো-দুই দেশ, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমন এবং শান্তির পথে তাদের মধ্যে বিদ্যমান মতপার্থক্য সমাধানের সম্ভাব্য পথ খুঁজে দেখা। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাত্র ৩০ ঘণ্টার সফরে ভারত এসেছেন তিনি। আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর পর রাত ১১টা ৫০ মিনিটে রিয়াদের উদ্দেশে রওনা দিবেন তিনি। সন্ত্রাসবাদ ও বাণিজ্য সম্পর্কিত নানা বিষয় নিয়ে দুই নেতাদের মধ্যে আলোচনায় এই সফরটিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই সফরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে চলেছে নিরাপত্তা। তবে কোনো এক অজানা কারণে পাকিস্তান সফর শেষেই রিয়াদ চলে যান যুবরাজ। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মির রাজ্যের পুলওয়ামায় জঙ্গিদের বোমা হামলায় নিহত হন দেশটির আধা-সামরিক পুলিশের ৪৪ জওয়ান। পাকিস্তানভিত্তিক সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ হামলার দায় স্বীকার করে। এরপরই পাকিস্তানকে সরাসরি দোষারোপ করেন নরেন্দ্র মোদি।  এর প্রতিক্রিয়ায় প্রতিবেশী পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে ‘একঘরে’ করার ঘোষণা দিয়েছে নয়াদিল্লি। পাকিস্তানকে দেওয়া ‘সবচেয়ে সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের’ মর্যাদা প্রত্যাহার করা হয়। একই সময়ে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত। তবে এই হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন ইমরান খান।