চকবাজার ট্র্যাজেডি : জামা-ট্রাউজার দেখে আরেকজনের লাশ শনাক্ত

চকবাজার অগ্নিকাণ্ডে নিহত আরেকজনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে হায়দার মেডিকেল হলের আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর মৃতদেহ শনাক্ত করেছে তার পরিবার। এ নিয়ে মোট ৪৭ জনের লাশ শনাক্ত হলো।

নিহতের ছোট ভাই মাইনুল হোসেন বলেন, ‘আমরা আজকে (শনিবার) সোহরাওয়ার্দী হাসপাতলের মর্গে গিয়েছিলাম। সেখানে পাঁচটি মরদেহ রয়েছে। চেহারা দেখে শনাক্ত করার উপায় ছিল না। মঞ্জুর পরনের ট্রাউজার ও শার্ট দেখে আমরা তাকে শনাক্ত করছি।’

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সেলিম রেজা জানান, পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেটসহ মৃতদেহের দাবিদারকে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর মৃতদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে লাশটি হস্তান্তর করা হচ্ছে।

এদিকে আজ সকালে পাঁচ মাস বয়সী একটি শিশুর ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছেন সিআইডির ডিএনএ ল্যাব কর্মকর্তারা। শিশুটির নাম আবুল হোসেন। শিরিন বেগমের সঙ্গে এসেছে শিশুটি। আবুল হোসেনের বাবা নুরুজ্জামান হাওলাদার নিখোঁজ। এ ছাড়া গতকাল শুক্রবার ২০ জন স্বজন এসে তাদের ডিএনএ নমুনা দিয়ে গেছেন।

সিআইডির সহকারী ডিএনএ অ্যানালিস্ট নুসরাত ইয়াসমিন এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, নিয়মিত মৃতদেহের নমুনা দিয়ে শনাক্ত করা হলেও অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে তা সময়সাপেক্ষ। যারা ডিএনএ নমুনা দিতে এসেছেন, তাদের রক্ত ও মুখের ভেতর থেকে কোষ সংগ্রহ করা হচ্ছে। মৃতদেহ থেকে হাড় ও দাঁতের নমুনা নেওয়া হয়েছে। মৃতদেহ শনাক্ত করতে এক থেকে ছয় মাস সময় লাগবে।

ঢাকার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সেলিম রেজা বলেছেন, তারা ৬৭ জনের লাশ পেয়েছেন।

বুধবার রাত ১০টা ৩৮ মিনিটে রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজার থানার চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের সামনে একটি পিকআপের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আশপাশের ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট ১১ ঘণ্টার বেশি সময় কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয়। এই ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৬৭ জন। আহত কমপক্ষে অর্ধশত ব্যক্তি। যারা রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।