নিখোঁজের সংখ্যা আসলে কত

চকবাজারের চুড়িহাট্টা এলাকায় বুধবারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নারী ও শিশুসহ ঝরে গেছে ৬৭টি তাজা প্রাণ। দগ্ধ-আহতের সংখ্যাও ছাড়িয়েছে অর্ধশত। এখনো খোঁজ মেলেনি অনেকের। রেড ক্রিসেন্টের খসড়া তালিকা অনুযায়ী অগ্নিকাণ্ডে নিখোঁজের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। কিন্তু ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে (ঢামেক) স্থাপিত জেলা প্রশাসনের তথ্যকেন্দ্র থেকে নিখোঁজের সংখ্যা বলা হচ্ছে মাত্র ১১ জন। এরই মধ্যে নিখোঁজদের সন্ধানে গতকাল শুক্রবার ঢামেক, মিটফোর্ড, সোহরাওয়ার্দী, কুর্মিটোলা ও হৃদরোগ হাসপাতালে ভিড় করেছেন অসংখ্য মানুষ। এসব পরিবারের সংখ্যা অর্ধশতের বেশি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, নিখোঁজ মানুষের সংখ্যা আসলে কত। গতকাল ঢামেক হাসপাতালে আসা অনেকেই দাবি করেছেন, বুধবার রাতের অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে তাদের কারও ভাই, কারও বাবা-বোন-বন্ধুকে খুঁজে পাচ্ছেন না। নিখোঁজদের অধিকাংশই চুড়িহাট্টার স্থানীয়। আর বাকিরা ঘটনার সময় ওই এলাকায় ছিলেন। তাই হারানো স্বজনের লাশটুকু অন্তত ফিরে পেতে তারা এসেছেন সিআইডির কাছে ডিএনএ নমুনা জমা দিতে। শুরু থেকেই চুড়িহাট্টায় অগ্নিকা-ের উদ্ধার কর্মকাণ্ডে যুক্ত আছেন রেড ক্রিসেন্টের ফিল্ড অফিসার শাকিলা আক্তার। গতকাল সন্ধ্যায় তিনি বলেন, আমরা আগে নিখোঁজের যে তালিকা দিয়েছিলাম তার মধ্যে কয়েকজনের খোঁজ পাওয়া গেছে। জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে নতুন করে তালিকা করা হচ্ছে। তালিকা প্রস্তুতের পর সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে কতজন নিখোঁজ রয়েছেন।