
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের মধ্যে ২৭-২৮ ফেব্রুয়ারি ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই দুনেতার মধ্যে এটি দ্বিতীয় দফা বৈঠক। এর আগে গত বছর তারা সিঙ্গাপুরে মিলিত হয়েছিলেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এক সময় বৈরী এ দুদেশের শীর্ষ নেতা বৈঠকের মধ্য দিয়ে আসলে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেতে পারেন। শুধু তাই নয় জল্পনা চলছে, নোবেলের জন্যই তারা দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। কোয়ার্টজ এক প্রতিবেদনে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে। এদিকে গত সপ্তাহে বিশ্বগণমাধ্যমে একটি খবর আসে যে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম মনোননীত করেছিলেন। এমনকি হোয়াইট হাউসের অনুরোধেই আবে সেটি করেছিলেন। ওই খবরের পর এ বিষয়টি আরও জোরালো হয় যে, শান্তিতে নোবেল লাভের জন্যই হয়তো এক সময় দুপ্রতিদ্বন্দ্বী আবারও বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, এক সময় জাপানের ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে যেত কিন্তু এখন… তারা ভালো আছে, তারা নিরাপদ বোধ করছে। আমি সেটি করেছি। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার তুলনা দিয়ে তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি তিনি (ওবামা) তো উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে প্রায় যুদ্ধে গিয়েছিলেন কিন্তু এখন কী হচ্ছে? কোনো ক্ষেপণাস্ত্র নেই, কোনো রকেট নেই কোনো পারমাণবিক পরীক্ষা নেই। এ জন্য ট্রাম্প অবশ্যই ধন্যবাদ পেতে পারে! একই বক্তৃতায় ট্রাম্প নালিশের সুরে বলেন, ২০০৯ সালে কোনো যোগ্যতা ছাড়াই ওবামা নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। এ ছাড়া গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনও বলেছিলেন, শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য ট্রাম্প যোগ্য। এদিকে আসন্ন ট্রাম্প-কিম বৈঠকে আসলে কী হবে তা নিয়ে চলছে জল্পনা। বৈঠকের মূল এজেন্ডা হলো উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ সম্পন্ন করা।