পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে ‘অনেক মিথ্যা অপবাদ ও অপপ্রচারের’ শিকার হতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, পদ্মাসেতু প্রকল্প নিয়ে বিশ্ব ব্যাংক ও সরকারের টানাপড়েনের সময় নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনুস এবং স্বনামধন্য দুই পত্রিকার সম্পাদক ‘মিথ্যা অপপ্রচারে’ লিপ্ত হয়েছিলেন। চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের খনন কাজ এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজের উদ্বোধনের পর রোববার এক সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।দেশের লোক দেশের বদনাম করেছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশের লোক আমাদের বদনাম করে। আমাদের দেশের দুটি স্বনামধন্য পত্রিকার এডিটর প্লাস মালিক তারা, সঙ্গে আপনাদের চট্টগ্রামের এক সন্তান আছে, যিনি জনগণের টাকা খেয়ে সুদের ব্যবসা করে নোবেল পেয়েছেন। তারা স্টেট ডিপার্টমেন্টে আমাদের বিরুদ্ধে সমানে অপপ্রচার করে।’ এ ছাড়া সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের কাছে ইমেইল পাঠিয়ে নানাভাবে যোগাযোগ করে। কাজেই পদ্মা সেতুকে একটা চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছিলেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে অর্থায়নে বিশ্ব ব্যাংক চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে পিছু হটেছিল। এ নিয়ে দীর্ঘ টানাপড়েনের পর সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণের পথে এগিয়ে যায়।’ প্রধানমন্ত্রী নামে পদ্মাসেতুর নামকরণের প্রস্তাব এলেও কেন তা করেননি, সেই ব্যাখ্যাও এ সময় তিনি দিয়েছেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পদ্মা সেতুর নাম রাখতে চেয়েছিলেন “শেখ হাসিনা সেতু”। কিন্তু তিনি তা নাকচ করে দিয়েছেন, কারণ এই সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে অনেক ‘মিথ্যা অপবাদ ও অপপ্রচারের’ শিকার হতে হয়েছে। কর্ণফুলী টানেলের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়নের নতুন ধাপে প্রবেশ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই দেশের জনগণ সারা বিশ্বে যাতে সম্মান নিয়ে চলতে পারে সেই লক্ষ্যেই সরকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে।’
সর্বশেষ
সুনামগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
দর্পন টিভি - 0
সুনামগঞ্জের শাল্লায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে উপজেলার জনস্বাস্থ্যের নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদে...