অস্ত্র নিয়ে উড়োজাহাজে যাওয়া সম্ভব না : প্রতিমন্ত্রী

বিমানবন্দরে যে তল্লাশি ব্যবস্থা, তাতে অস্ত্র নিয়ে উড়োজাহাজে যাওয়া সম্ভব না বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। আজ সোমবার ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি গণমার্ধমকর্মীদের এ কথা বলেন। মাহবুব আলম বলেন, বিমানবন্দরের তল্লাশি ব্যবস্থায় অস্ত্র নিয়ে গেলে তা দৃশ্যমান হয়। সবকিছু খতিয়ে দেখা হয়েছে। অস্ত্র নিয়ে যাওয়ার মতো কিছু পাওয়া যায়নি। বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনা প্রধানমন্ত্রী গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে মিনিটে মিনিটে গাইড করেছেন বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।  মাহাবুব আলী বলেন, ‘আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উনি নিজেই জিনিসটা সম্পর্কে অবগত হয়েছেন এবং সঙ্গে সঙ্গেই কমান্ডো প্রসিড করার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।  তার পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সার্বক্ষণিক টিভি মনিটর থেকে বিষয়টি দেখেছেন। মিনিটে মিনিটে উনি টেলিফোনে গাইড করেছেন এবং সমস্ত যাত্রী নিরাপদ ছিল। এ সময় কয়েকজন ক্রু ছিল তাদের সঙ্গে। পরবর্তীকালে আমরা জানলাম যে তারাও নিরাপদ। আমরা আশ্বস্ত হয়েছি, কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে নাই।’রোববার বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল বিজি-১৪৭ ফ্লাইটটির। ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরই বিমানটি ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে। পরে বিকেল ৫টা ৪১ মিনিটে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশের ওই ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করে। ১৩৪ যাত্রী ও ১৪ ক্রু নিয়ে ফ্লাইটটি দুবাই যাচ্ছিল। পরে কমান্ডো অভিযানে সন্দেহভাজন বিমান ‘ছিনতাইকারী’ নিহত হন। তবে বিমানে থাকা যাত্রীরা অভিযানের আগেই নিরাপদে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। তবে তাৎক্ষণিক তার পরিচয় জানাতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আজ র‌্যাবের পক্ষ থেকে পাঠানো এক খুদে বার্তায় বলা হয়েছে, অপরাধীদের তথ্যভান্ডার অনুযায়ী ওই ব্যক্তির নাম মো. পলাশ আহমেদ। তার বাবার নাম পিয়ার জাহান সরদার। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের পিরিজপুরে তার বাড়ি। এ ছাড়া ময়ূরপঙ্খী উড়োজাহাজটির (বিজি-১৪৭ ফ্লাইট) যাত্রী তালিকা অনুযায়ী, পলাশ আহমেদ অভ্যন্তরীণ রুটের (ঢাকা-চট্টগ্রাম) যাত্রী ছিলেন। তার নাম উল্লেখ ছিল AHMED/MD POLASH। সিট নম্বর ১৭এ।