খালেদা জিয়ার চারপাশে রয়েছে বিস্ফোরক

পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার সন্নিকটে নাজিমউদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগার ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ অভিযোগ করে এ মুহূর্তেই খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেছে বিএনপি। গতকাল সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, শওকত মাহমুদ, কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেন, আবদুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী, আবদুল আউয়াল খান প্রমুখ। রিজভী বলেন, আমি গভীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও আতঙ্কের সঙ্গে বলছি, আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা খালেদা জিয়াকে যে পরিত্যক্ত কারাগারে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে, তার চারপাশে রাসায়নিক বিস্ফোরকের ডিপো। চকবাজারের চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানশন থেকে নাজিমউদ্দিন রোডে দেশনেত্রীর কারা প্রকোষ্ঠের দূরত্ব মাত্র দেড় থেকে দুশ মিটার। সেখানে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা, বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটেছে। তিনি আরও বলেন, শুধু প্রতিহিংসার লেলিহান শিখায় দগ্ধ শেখ হাসিনা অবৈধ ক্ষমতার জোরে এমন ভয়ঙ্কর বারুদের ডিপোর মাঝখানে আতঙ্কজনক পরিবেশে দেশনেত্রীকে বন্দি রেখেছেন। তাকে এক অশুভ উদ্দেশ্যে ভয়াবহ বিপজ্জনক পরিবেশে বন্দি করে রেখেছে অবৈধ শাসকগোষ্ঠী। আমাদের বক্তব্যে এ মুহূর্তে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। তিনি নির্দোষ, এ মুহূর্তে তার মুক্তি চাই। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের স্থানান্তর করা হতে পারে বলে আমরা শুনছি, এ রকম প্রশ্নের জবাবে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমাদের বক্তব্য এ মুহূর্তে দেশনেত্রীকে মুক্তি দিতে হবে। রিজভী বলেন, অগ্নিকাণ্ডের দিন অল্প দূরত্বে চরম অসুস্থ কারাবন্দি খালেদা জিয়া সারারাত নির্ঘুম উৎকণ্ঠায় কাটিয়েছেন। আমি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলতে চাই, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে কেন ছিনিমিনি খেলছেন? হাছান মাহমুদ চৌধুরীকে তথ্যমন্ত্রী থেকে সরিয়ে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান পদে নিয়োগ দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন রিজভী। চকবাজারের চুড়িহাট্টার অগ্নিকা-ের ঘটনার সঙ্গে বিএনপির সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা খুঁজে দেখা হবে ,তথ্যমন্ত্রীর এ রকম বক্তব্যের পর সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমি বলতে চাই, হাছান মাহমুদদের তথ্যমন্ত্রী করাটা বোধহয় সরকারের খুব অন্যায় হয়ে গেছে। এ রকম তথ্য যখন তার (হাছান মাহমুদ) কাছে থাকে, তাকে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা-এনএসআইয়ের প্রধান করে দিন। তথ্য মন্ত্রণালয়ে রাখা উচিত হবে না।