চকবাজারে গত বুধবার ভয়াবহ অগ্নিকা-ের পর জানা গিয়েছিল, সড়কের একটি গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল। শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়, যোগ করা হয় প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যও। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বক্তব্যও ছিল অভিন্ন। কিন্তু এসব তথ্য সঠিক নয়। বিস্ময়কর হলেও সত্যিÑ গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে নয়, অগ্নিকা-ের সূত্রপাত হয়েছিল হাজি ওয়াহেদ ম্যানশনের দোতলার সুগন্ধি প্রস্তুতকারী একটি কারখানা থেকে। বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডের নকল সুগন্ধি প্রস্তুতকারী ওই প্রতিষ্ঠানে প্রথম বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর পর আগুন লেগে যায় পুরো ওয়াহেদ ম্যানশনে এবং সেটি ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের চারটি ভবনসহ অন্যত্র। সেই বিস্ফোরণ থেকে ভাগ্যক্রমে প্রাণে রক্ষা পাওয়া একজন, স্থানীয় একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী, অগ্নিকা-ের জন্য গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য এবং পুলিশের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। স্মরণকালের ভয়াবহ এ অগ্নিকা-ের সূত্রপাত সম্পর্কে এতদিন বলা হচ্ছিলÑ সড়কের যানজটে আটকে থাকা একটি গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার প্রথমে বিস্ফোরিত হয়। এর আগুন ছিটকে গিয়ে পড়ে পাশের বৈদ্যুতিক খুঁটির ওপর স্থাপন করা ট্রান্সফরমারে। এর পর ট্রান্সফরমারটি বিস্ফোরিত হলে এর আগুনের গোলা গিয়ে পড়ে হাজি ওয়াহেদ ম্যানশনে। ওই ম্যানশনে রাসায়নিকের গুদাম থাকায় আগুন জ্বলে ওঠে দাউ দাউ করে; ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে। এর পর ওই ভবন থেকে আশপাশের চারটি ভবনেও আগুন লেগে যায়। শুরু হয় তা-ব। দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও দপ্তরের প্রতিবেদন ও ভাষ্যের ভিত্তিতে গত কদিন ধরে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এ তথ্যই ছিল প্রতিষ্ঠিত। এ নিয়ে গত শনিবার স্থানীয় ব্যবসায়ীরা চকবাজারে বিক্ষোভও করেছেন গ্যাস সিলিন্ডার বন্ধ করে দেওয়ার দাবিতে। এখন প্রশ্ন জেগেছেÑ অগ্নিকা-ের সূত্রপাত সম্পর্কে গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের গল্পটি কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হলো? বানোয়াট এ গল্পের নেপথ্যে কারা? তাদের উদ্দেশ্যই-বা কী? স্থানীয়রা জানান, আগুনের সূত্রপাত ওয়াহেদ ম্যানশনের দোতলার যে গুদামে, প্রায় ছয় মাস আগে সেটি ভাড়া নেন উর্দুভাষী এক লোক। তাকে কেউ ডাকেন ‘বোম্বাইয়া’, কেউবা ‘মাউরা’। রাসায়নিকের মজুদ ছাড়াও সেখানে তার একটা কারখানা ছিল। ওই কারখানায় তৈরি হতো মধ্যপ্রাচ্যে জনপ্রিয় বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড ‘আরমাফ’-এর নকল বডি স্প্রে, পারফিউম ও নেইল পলিশ। এ ছাড়া দোতলাতেই ছিল বৈদ্যুতিক বাতির গুদাম, গ্যাসলাইটার রিফিলের কারখানাসহ ঝুঁকিপূর্ণ আরও অনেক রাসায়নিক দ্রব্যের গুদাম। বোম্বাইয়া এখানে তৈরি নকল পারফিউমারি পণ্য ঢাকার বিভিন্ন পাইকারি বাজারে সরবরাহ করতেন; সেখান থেকে ছড়িয়ে যেত সারাদেশে। অগ্নিকা-ের পর থেকেই বোম্বাইয়া লাপাত্তা। দুর্ঘটনায় হতাহতদের তালিকায় তার নাম নেই। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। এ ছাড়া গা ঢাকা দিয়ে আছেন ওয়াহেদ ম্যানশনের মালিক হাজি ওয়াহেদের দুই ছেলে মো. হাসান (৫০) ও সোহেল ওরফে শহীদ (৪৫)। শুধু তাই নয়, ওই ভবনে আরও যাদের রাসায়নিকের কারখানা ও গুদাম ছিল, তাদেরও হদিস মিলছে না। সূত্র জানায়, পুলিশ তাদের হন্যে হয়ে খুঁজছে; খুঁজছে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। প্রসঙ্গত চকবাজার অগ্নিকা-ের পর এ নিয়ে করা একটি হত্যা মামলায় হাসান ও সোহেল অন্যতম আসামি। অগ্নিকা-ের তদন্তে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি কমিটি গঠন করেছে। এর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় ঘটনার পরদিন অর্থাৎ গত বৃহস্পতিবার একটি প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করে। এতে উল্লেখ করা হয়, দুটি গাড়ির সংঘর্ষের ফলে একটি গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এখান থেকে আগুনের সূত্রপাত। প্রতিবেদনে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে আরও বলা হয়, অগ্নিকা-স্থলের আশপাশে রাসায়নিকের কোনো দোকান, কারখানা ও গুদাম ছিল না। শুধু তাই নয়, গুরুতর অসুস্থ হয়ে যারা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি, তাদের কারও দেহে কোনো রাসায়নিকের চিহ্ন বা গন্ধ পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। একই দিন ডিএসসিসির মেয়র সাঈদ খোকনও বলেন, পাশের চৌরাস্তায় যানজটে আটকে থাকা একটি পিকআপের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত। সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর এর আগুন গিয়ে লাগে পাশের ট্রান্সফরমারেÑ এ তথ্য এতদিন একাধিক সূত্রে বলা হলেও আদতে সেখানে কোনো ট্রান্সফরমারই নেই। বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাও তা নিশ্চিত করেছেন। ঘটনাস্থলের আশপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ দেখে অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া গেছে, ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টা ৩২ মিনিট ২৬ সেকেন্ডে শুরু হওয়া চকবাজার অগ্নিকা-ের সূত্রপাত ওয়াহেদ ম্যানশনে, ওই ম্যানশনের দোতলাতেই প্রথম বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। শক্তিশালী বিস্ফোরণে দোতলার দেয়ালটি ভেঙে পড়ে আগুনের গোলাসহ পাশের রাস্তায়। এ সময় বিস্ফোরণস্থল থেকে বোমার মতো উড়ে পড়ছিল সুগন্ধির কৌটাগুলো। এর পর সেই আগুনেই গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয় বলে ধারণা করছেন অনেকে। বুধবার রাতের ওই বিস্ফোরণে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন পাঠাওয়ের রাইডার শামিমুর রহমান পাখি। চকবাজারে ব্রোকারি ব্যবসাও করেন এ যুবক। তিনি বলেন, ঘটনার রাতে চকবাজারে কাজ শেষে বাইক চালিয়ে বাসায় ফিরছিলাম। যানজট পেরিয়ে ওয়াহেদ ম্যানশনের নিচে এসে পৌঁছার পর হঠাৎ বিকট শব্দ কানে আসে। মুহূর্তেই মাথার ওপর এসে পড়ে ভবনটির দোতলার ধসে-পড়া দেয়ালের অংশ। আগুনের গোলার সঙ্গে শিলাবৃষ্টির মতো বডি স্প্রে, গ্যাসলাইটের ছোট ছোট কনটেইনার ছুটে আসছিল। ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই পুরো রাস্তায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে, যেন এক অগ্নিকু-। মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের মধ্যেই শোনা যায় চিৎকার, চেঁচামেচি। দেয়াল ধসে আঘাত পেয়েছিলাম মাথায়। প্রাণ বাঁচাতে মাথা ধরেই বাইক ফেলে দৌড়ে সরে যেতে থাকি দূরে। কিন্তু ভিড়, হুড়োহুড়ি ঠেলে এগোতে পারছিলাম না। মসজিদের এসএস পাইপের গেট খোলা থাকায় হামাগুড়ি দিয়ে সেখানে ঢুকে পড়ি নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য। ততক্ষণে আগুনের গোলা পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেছে। পুড়ছে মানুষ, পুড়ছে যানবাহন। রাতে মসজিদ থেকেই বন্ধু জনিকে ফোন দিই। এর র আমাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মাথায় ৮টা সেলাই লেগেছে। চিকিৎসকের পরামর্শে এখন বিশ্রামে আছি। প্রথমে কোনো সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে শামিমুর বলেন, মোটেও না। প্র্রথম বিস্ফোরণ ঘটেছে ওয়াহেদ ম্যানশনের দোতলায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির এক সদস্য জানান, বুধবার রাতে ঘটনার সময় ওয়াহেদ ম্যানশনের সামনের সড়কে যানবাহনের বাড়তি চাপ থাকায় প্রাইভেট কার, পিকআপ, মোটরসাইকেল, রিকশা, ভ্যান, ঠেলাগাড়ি স্থির দাঁড়িয়ে ছিল। ফলে সে সময় ওইখানে দুই গাড়ির মধ্যে কোনো সংঘর্ষের ঘটনাই ঘটেনি। আগুন লাগার কয়েক মিনিট পর অবশ্য একটি সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। পরবর্তীতে কয়েকটি সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ ঘটে। তবে প্রথম বিস্ফোরণটি যে ওয়াহেদ ম্যানশনের দ্বিতীয় তলা থেকে ঘটেছে এটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। দোতলায় রাস্তার পাশের গুদামে বিপুল পরিমাণে থিনারসহ অত্যন্ত দাহ্য পদার্থের মজুদ ছিল। সেখানে বিস্ফোরণ থেকেই আগুনের সূত্রপাত। মুহূর্তেই ওই আগুন সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে দেয়াল ভেঙে পড়ায়। এর পরই রাস্তার গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। তিনি জানান, দাহ্য পদার্থের নাম ও কার্যকারিতা নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হবে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় ব্যবসায়ী মোশাররফ আমাদের সময়কে ওই রাতের ঘটনা সম্পর্কে বলেন, আমি দোকান বন্ধ করছিলাম। কিছুক্ষণ পর দেখি দোতলায় আগুন জ্বলছে। মুহূর্তেই সেই আগুনের গোলাসহ দোতলার দেয়াল ভেঙে পড়ল রাস্তায়। দৌড় দিয়ে মসজিদ গলির শেষ প্রান্তে গিয়ে দাঁড়াই। ফিরে দেখি, আগুনে সব পুড়ে যাচ্ছে। কী করব বুঝতে পারছিলাম না! পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পৌঁছলে আমিও তাদের সঙ্গে উদ্ধারকাজে সাহায্য করতে এগিয়ে যাই। স্থানীয় আরও কয়েক বাসিন্দা জানান, অগ্নিকা-ের মাত্র দুদিন আগেও ওয়াহেদ ম্যানশনের দ্বিতীয় তলায় প্রায় তিন কোটি টাকার রাসায়নিক মজুদ করা হয়। আমদানি করা এসব পারফিউম গ্যাস দোতলার একাধিক গোডাউনে বিভিন্ন মাপের বোতল, ক্যানে রিফিল করা হতো। নতুন আনা রাসায়নিকের কারণে ওয়াহেদ ম্যানশনের আশপাশের বাতাসেও কদিন ধরে সুঘ্রাণ পাওয়া যাচ্ছিল। ওয়াহেদ ম্যানশনের দ্বিতীয় তলার জানালায় বুধবার সন্ধ্যায়ও জিএফসি ফ্যান ছেড়ে রাখতে দেখা গেছে; ভেতরের গ্যাস বাইরে বের করে দেওয়ার জন্য। ওয়াহেদ ম্যানশনের মালিক দুই ভাইয়ের মধ্যে সোহেলও এ ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। লৌহজং কোম্পানি নামে একটি কোম্পানির নাম ব্যবহার করে নকল পণ্য তৈরির অভিযোগে সোহেল একাধিকবার জেল খেটেছেন, জরিমানাও গুনেছেন। বিস্ফোরক পরিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক শামসুল আলম জানান, আগুনের সূত্রপাতের বিষয়ে এ পর্যন্ত সিলিন্ডার বা বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণের কোনো আলামত মেলেনি। ফলে রাসায়নিক বিস্ফোরণে অগ্নিকা-টি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে সব প্রকাশ করা হবে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আলী আহম্মদ খান জানান, আগুন লাগার আগে ওয়াহেদ ম্যানশনের দোতলায় ও নিচে বিপুল পরিমাণ দাহ্য পদার্থের মজুদ ছিল। ওই সড়কে প্রচ- যানজট ছিল। আগুন যেখান থেকেই লাগুক, কেমিক্যালই দীর্ঘস্থায়ী করেছে আগুন। কয়েকটি বিষয় সামনে রেখে তদন্ত কার্যক্রম চলছে। পূর্ণ তদন্তের পর আগুন লাগার সুস্পষ্ট কারণ বলা যাবে। চকবাজার থানার ওসি শামীমুর রশীদ তালুকদার জানান, ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে যে মামলাটি করেছে পরে একই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হওয়ায় আগের মামলাটি আর থাকছে না। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বুধবারের ভয়াবহ সেই অগ্নিকা-ে প্রাণ হারিয়েছেন ৬৭ জন; গুরুতর আহত ১১ জনের চিকিৎসা চলছে ঢামেক হাসপাতালে। তাদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক মানুষ।
এদিকে গতকালও চকবাজার এলাকা থেকে বিপজ্জনক রাসায়নিক দ্রব্য অন্যত্র সরিয়ে নিতে দেখা গেছে। চকবাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুরাদ বলেন, ডিএসসিসির তত্ত্বাবধানে উদ্ধার করা এসব পণ্য কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল প্রকল্পে নিয়ে আপাতত রাখা হচ্ছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চকবাজারে আগুনের ঘটনায় গতকাল আহত ১১ জনকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রাতে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি অগ্নিদগ্ধদের দেখতে যান শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান। এ সময় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে দগ্ধদের মধ্যে ৭ শ্রমিককে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান তুলে দেন তিনি তাদের স্বজনদের হাতে। অন্যদিকে পুরান ঢাকার সব রাসায়নিক কারখানা ও গুদাম দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ফোরাম। একই সঙ্গে রখানাগুলোর বাণিজ্যিক লাইসেন্স বাতিল এবং এ ধরনের লাইসেন্স আর না দেওয়ারও দাবি জানিয়েছে এ ফোরাম। এ ইস্যুতে গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।