পুরান ঢাকার চকবাজারে কেমিক্যাল গোডাউন ও কারখানা সরানো নিয়ে সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়ার অভিযোগকে নাকচ করে দিলেন সদ্যবিদায়ী শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি দাবি করেন, ‘তিনি (দিলীপ বড়ুয়ার) নিজে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারেন, এমন আশঙ্কা থেকেই আগাম কথা বলেছেন।’ আজ সোমবার সকালে রাজধানীর ইস্কাটনের নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন আমির হোসেন আমু। তিনি আরও বলেন, ‘আমি দীলিপ বড়ুয়ার নাম কোথাও পাইনি। যেটা আমি দেখলাম সেটা হচ্ছে, চার মাস পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একটা মিটিং হয়, সেই মিটিংয়ে এটা টাস্ক ফোর্স হয়েছিল। সেই মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিসিকের চেয়ারম্যানকে সভাপতি করে একটি ১০ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু ওই কমিটির সভাপতি হওয়ার কথা ছিল তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়ার। তার অদক্ষতা ও অযোগ্যতা ও নির্লিপ্ততার কারণে তাকে সভাপতি করা হয়নি। এতেই তার ব্যর্থতা প্রমাণিত হয়।’ সাবেক এই শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রকল্প অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাই। আমার সময় কেমিক্যাল পল্লি গঠনের লক্ষ্যে ৫০ একর জমি অধিগ্রহণের অনুমোদন করানো হয়। তারপরই আমার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।’ এক প্রশ্নের জবাবে আমু বলেন, ‘পুরান ঢাকার কেমিক্যাল ব্যবসায়ীরা ছোট আকারের ব্যবসা করেন। তারা এখান থেকে সরতে চান না। তাছাড়া, এসব প্রতিষ্ঠান শিল্প মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্তও নয়। এসব কারণে কেমিক্যাল কারখান সরাতে সময় লাগছে।’ আমু বলেন, ‘এই ইস্যুতে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার। দিলীপ বড়ুয়া এমন একটি দলের প্রতিনিধিত্ব করেন যে দলে নিজ যোগ্যতায় একজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হওয়ারও সামর্থ্য নেই। ১৪ দলে না আসলে তাকে কেউ চিনতও না।’ গত শনিবার এক সভায় সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া অভিযোগ করেন, ‘আমাদের যিনি শিল্পমন্ত্রী ছিলেন (আমু), উনি যদি সিরিয়াসলি বিষয়টি টেকআপ করতেন, তা হলে হয়তো এতদিনে পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গোডাউন রিলোকেট করা সহজ হতো।’ দুপুরে রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডস্থল পরিদর্শনে গিয়ে দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘কেমিক্যাল বিজনেস রি-লোকেট করার জন্য আমি মন্ত্রী থাকাকালে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, কেমিক্যাল মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও বিসিকও সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ঢাকার বাইরে গোডাউন স্থানান্তর করা হবে। এটি আমাদের প্রতিজ্ঞা ছিল। কিছু ডিসক্রিট ব্যাপারের কারণে পুরো ব্যাপারটি এগোয়নি।’ দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘যারা স্টেকহোল্ডার আছেন, তারা সরকারকে বাধ্য করতে পারেনি। ভবন মালিকদেরও দায় আছে। তারা বেশি ভাড়া পাওয়ার জন্য গোডাউন ভাড়া দেন এবং ব্যাপারটি লুকিয়ে রাখেন।’
সর্বশেষ
সুনামগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
দর্পন টিভি - 0
সুনামগঞ্জের শাল্লায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে উপজেলার জনস্বাস্থ্যের নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদে...