নারী অপহরণ মামলার আসামি ছিল পলাশ : র‌্যাব

চট্টগ্রামে বিমান ছিনতাই চেষ্টাকারী পলাশ আহমেদের বিষয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে। ঘটনার তদন্তে এবার পলাশের বিরুদ্ধে নারী অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। আজ সোমবার দুপুরে র‌্যাবের মিডিয়া অ্যান্ড লিগ্যাল উইং কমান্ড মুফতি মাহমুদ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ২০১২ সালে এক নারীকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল পলাশকে। তার ফিঙ্গার প্রিন্ট ও চোখের আইরিস পরীক্ষা করে র‌্যাবের ডাটাবেজে থাকা এক অপরাধীর সাথে পুরোটা মিল পাওয়া যায়। সেই অনুযায়ী নিহতের বিমানের টিকিট ও পাসপোর্টের তথ্যও সব মিল পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ‘ফিঙ্গার প্রিন্ট অনুযায়ী অপরাধীর নাম মো. পলাশ আহমেদ, পিতা. পিয়ার জাহান সরদার, ঠিকানা- নারায়ণগঞ্জ বলেই আমাদের কাছে থাকা ডাটাবেজে পাওয়া যায়।’ ব্রিফিংয়ে র‌্যাব মুখপাত্র জানান, ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী পলাশ এর আগে ২০১২ সালে এক নারীকে অপহরণ করে ৮ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবি করে। তখন তাকে এক সহযোগীসহ আটক করে র‌্যাব-১১। একইসাথে সেই নারীকেও উদ্ধার করা হয়। র‌্যাবের ডাটাবেজে থাকা তথ্য অনুযায়ী সে ২০১২ সালেই বিবাহিত ছিল পলাশ এবং তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি সমমান তথা দাখিল। গতকাল রোববার বিকেলে ঢাকা থেকে দুবাইগামী বাংলাদেশ বিমানের ‘ময়ূরপঙ্খী’ উড়োজাহাজ ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছিল। এরপর চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশের ওই ফ্লাইটটি ১৩৪ যাত্রী ও ১৪ ক্রু নিয়ে জরুরি অবতরণ করে। পরে কমান্ডো অভিযানে সন্দেহভাজন বিমান ‘ছিনতাই চেষ্টাকারী’ নিহত হয়।