২০ দিন কারাগারে ছিলেন পলাশ

চট্টগ্রামে বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টার সময় নিহত পলাশ আহমেদ এর আগে ২০ দিন কারাগারে ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার বাবা। একই তথ্য জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।  আজ সোমবার বিকেলে পলাশের বাবা পিয়ার জাহান সরদার বলেন, ‘এক মেয়ের সঙ্গে পলাশের ভালোবাসা ছিল। ওই মেয়ের বাবা মামলা করেছিল। সেই মামলায় পলাশ ২০ দিন কারাগারে ছিল। পরে জামিন করাই। আমরা ওই মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি ছিলাম। কিন্তু মেয়ের বাবা রাজি হয়নি। পরে আপসের মাধ্যমে তারা মামলাটা তুলে নিয়েছে।’ র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সাত বছর আগে ১৭ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণের মামলায় ২০ দিন কারাগারে ছিলেন পলাশ।  জানা গেছে, ২০১১ সালে ঢাকার সোনারগাঁওয়ের স্থানীয় তাহেরপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করেন পলাশ। পরে সোনারগাঁ ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হলেও প্রথম সেমিস্টারের পর আর পড়াশোনা করেনননি। গত সাত বছর আগে বিদেশ থেকে স্থায়ীভাবে দেশে চলে আসেন পলাশের বাবা। এলাকায় তিনি একটি মুদি দোকান দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। পলাশের বাবা পিয়ার জাহান বলেন, গত ২০-২৫ দিন ধরে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসে পলাশ। বাড়িতে এসে অনেকটা পাল্টে যায় সে। মসজিদে যাওয়া-আসা করে, এমনকি আজানও দিয়েছে। গত শুক্রবার বাসা থেকে বিদায় নেওয়ার সময় তার মাকে বলে যায়, ‘আমি দুবাই যাচ্ছি’। রোববার বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল বিজি-১৪৭ ফ্লাইটটির। ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরই বিমানটি ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে। পরে বিকেল ৫টা ৪১ মিনিটে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশের ওই ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করে। ১৩৪ যাত্রী ও ১৪ ক্রু নিয়ে ফ্লাইটটি দুবাই যাচ্ছিল। পরে কমান্ডো অভিযানে সন্দেহভাজন বিমান ‘ছিনতাইকারী’ নিহত হন। তবে বিমানে থাকা যাত্রীরা অভিযানের আগেই নিরাপদে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। তবে তাৎক্ষণিক তার পরিচয় জানাতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আজ র‌্যাবের পক্ষ থেকে পাঠানো এক খুদে বার্তায় বলা হয়েছে, অপরাধীদের তথ্যভান্ডার অনুযায়ী ওই ব্যক্তির নাম মো. পলাশ আহমেদ। তার বাবার নাম পিয়ার জাহান সরদার। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের পিরিজপুরে তার বাড়ি। এ ছাড়া ময়ূরপঙ্খী উড়োজাহাজটির (বিজি-১৪৭ ফ্লাইট) যাত্রী তালিকা অনুযায়ী, পলাশ আহমেদ অভ্যন্তরীণ রুটের (ঢাকা-চট্টগ্রাম) যাত্রী ছিলেন। তার নাম উল্লেখ ছিল AHMED/MD POLASH। সিট নম্বর ১৭এ।