চট্টগ্রামে বিমান ছিনতাই চেষ্টার ঘটনায় নিহত পলাশ আহমেদের মরদেহ শনাক্ত করেছে তার বাবা পিয়ার জাহান সরদার ও চাচা দ্বীন ইসলাম। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পলাশের লাশ শনাক্ত করে তারা। মরদেহ গ্রহণের পর পলাশের চাচা দ্বীন ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বিমান ছিনতাইয়ের মতো এত বড় ঘটনা পলাশের একার পক্ষে কখনোই সম্ভব নয়। এর পেছনে বড় কারো ইন্ধন থাকতে পারে। সব প্রক্রিয়া শেষ করে পলাশের মরদেহ চট্টগ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জে গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানান দ্বীন ইসলাম। এর আগে পলাশের মরদেহ গ্রহণ ও দাফন করতে আপত্তি জানান তার বাবা পিয়ার জাহান। এ সময় পলাশের বাবা জানান, পাঁচ বছর ছেলের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক নেই। ওর উচ্ছৃঙ্খল জীবন নিয়ে এতটাই অতিষ্ঠ ছিলেন যে, এক পর্যায়ে তিনি কামনা করেন, হয় ছেলে ভালো হোক, না হয় মারা যাক। বিমান ছিনতাই করতে গিয়ে পলাশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তিনি। তিনি আরও জানান, ছেলের লাশ আনার ব্যাপারে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। তবে সরকার লাশ দিতে চাইলে লাশ গ্রহণ করবেন। নতুবা লাশও আনতে যাবেন না তারা। এদিকে বিমান ছিনতাই চেষ্টার ঘটনায় পলাশ আহমেদের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল সোমবার পতেঙ্গা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের সিভিল এভিয়েশনের প্রযুক্তি সহকারী দেবব্রত সরকার। সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০১২ এর ৬ তৎসহ বিমান-নিরাপত্তা বিরোধী অপরাধ দমন আইন, ১৯৯৭ এর ১১(২)/১৩(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। রোববার বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল বিজি-১৪৭ ফ্লাইটটির। ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরই বিমানটি ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে। পরে বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশের ওই ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করে। ১৩৪ যাত্রী ও ১৪ ক্রু নিয়ে ফ্লাইটটি দুবাই যাচ্ছিল। পরে কমান্ডো অভিযানে সন্দেহভাজন বিমান ‘ছিনতাইকারী’ নিহত হয়। তবে বিমানে থাকা যাত্রীরা অভিযানের আগেই নিরাপদে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন।
সর্বশেষ
সুনামগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
দর্পন টিভি - 0
সুনামগঞ্জের শাল্লায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে উপজেলার জনস্বাস্থ্যের নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদে...