
পাকিস্তানে ভারতের বিমান হামলার পর দেশটির জনগণকে ‘সব ঘটনার জন্য প্রস্তুত থাকতে’ বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এ সময় তিনি সশস্ত্র বাহিনীকেও তলব করেন। ভারতীয় বিমান বাহিনীর আকস্মিক হামলার পর আজ মঙ্গলবার ইমরান খানের সভাপতিত্বে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক শেষে দেওয়া বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। ডন নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ এ হামলার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মোহাম্মদ কোরাইশী। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ভারত আইন লঙ্ঘন করে আগ্রাসণ সৃষ্টি করেছে। ইসলামাবদেরও আত্মরক্ষার অধিকার আছে।’ পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণরেখা (লাইন অব কন্ট্রোল) পেরিয়ে দেশটির জয়েশ-ই-মোহাম্মদ, হিজবুল্লাহ মুজাহেদীন ও লস্কর-ই-তায়েবার স্থাপনায় ভারতের বিমানবাহিনী হামলায় ২০০ থেকে ৩০০ জন নিহত হয়েছে বলে দাবি করছে নয়াদিল্লি। আজ ভোরে এ হামলা চালানো হয়। বিমানবাহিনীর সূত্রের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, ভারতীয় বিমানবাহিনীর ১২টি মিরেজ ২০০০ জেট বিমান এ হামলায় অংশ নেয়। তাদের ফেলা ১ হাজার কেজি বোমা বর্ষণে ২০০ থেকে ৩০০ জন মারা গেছে। লেজার পরিচালিত এ বোমা ইসরাইলি প্রযুক্তিতে তৈরি এবং এটি প্রথম কারগিলে ব্যবহার করা হয়েছিল। এ বিমান হামলার ঘটনা ঘটে গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোরাইশী আরও বলেন, ‘দেশের মানুষের দুঃশ্চিন্তার কিছু নেই। আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সফল লড়াই করেছি। আমরা শান্তিকামী জাতি এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সচেতন রয়েছি।’ এদিকে ভারতের বিরুদ্ধে আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গাফ্ফর এ ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, হামলা চালানো হয়েছে পাকিস্তানের বালাকোটে। পাকিস্তানি বিমানবাহিনী প্রতিরোধ করেছে। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ গাড়িবহরে আত্মঘাতী হামলায় ৪০ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়। এর জবাব দিতেই ভারত এ হামলা চালিয়েছে।