
তামিম ইকবাল ছাড়া হাসেনি কারো ব্যাট। তামিম যদি ব্যাট হাতে না দাঁড়িয়ে যেতেন কী যে হতো টাইগারদের! ব্যাটিং ভরাডুবির কোনো বিকল্প ছিল না। তবে লিটন দাস আর সাদমান ব্যতিক্রম ছিলেন কিছুটা। হ্যামিলটনে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে তামিমের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে রক্ষা পায় বাংলাদেশ। এ বাঁহাতি ওপেনারের কল্যাণে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে সবক্টি উইকেট হারিয়ে ২৩৪ রান করে। তামিমের ব্যাট থেকে আসে ১২৮ বলে ১২৬ রানের ইনিংস। এটি তার ক্যারিয়ারের ৯ম সেঞ্চুরি। হাফসেঞ্চুরি খুব কম বলে করলেও আস্তে আস্তে নিজেকে গুটিয়ে খেলতে থাকেন সেখেশুনে। এই ইনিংসটি সাজানো ছিল ২১ চার ও একটি ছয়ে।তামিম ছাড়া দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসে লিটন দাসের ব্যাট থেকে। তিনি সাত নম্বরে নেমে ২৯ রান করেন। এ ছাড়া ওপেনিংয়ে নেমে সাদমান করেন ২৪ রান। অভিষেক হওয়ার এই প্রথম তামিমের সঙ্গে খেলছেন সাদমান। মাহমুদুল্লাহ ২২ ও মমিনুল হক ১২ রান করে সাজঘরে ফিরেন। এদিন ব্যাট হাতে ব্যার্থ ছিলেন সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ মিথুন। সৌম্য মাত্র ১ ও মিথুন আত রান করে সাজঘরে ফিরে যান। অধিনায়ক-কোচ জানিয়েছিলেন মুশফিককে না পাওয়ার সংশয়টা। শেষ পর্যন্ত সেটাই সত্য হলো। দলের ব্যাটিং স্তম্ভকে ছাড়াই তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেছে টাইগাররা। তবে এ ম্যাচের মধ্যে দিয়ে অভিষেক হচ্ছে পেসার এবাদত হোসেনের। হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় কিউই অধিনায়ক। ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় ভোর চারটায় শুরু হয়। ইনজুরির কারণে মুশফিককে না পেলেও টাইগাররা নেমেছে মোস্তাফিজকে ছাড়াই। নিউজিল্যান্দের সবুজ পিচ আর কন্ডিশনের কথা বিবেচনায় এনে একাদশ সাজানো হয়েছে তিন পেসার নিয়ে। আবু জায়েদ রাহী এবং খালেদ আহমেদের সঙ্গে এই প্রথম টাইগারদের জার্সিতে খেলতে নামছেন এবাদত হোসেন। মাত্র কয়েক বছর আগে এবাদত ভলিবল খেলতেন এয়ার ফোর্সের হয়ে। পেসার হান্টের মাধ্যমে উঠে আসেন এ ফাস্ট বোলার। মোস্তাফিজ সম্পূর্ণ ফিট থাকলেও তাকে বিশ্রামে রেখে একাদশ সাজিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। টসে হারার পর মাহমুদুল্লাহ জানিয়েছেন, তিনি চেয়েছিলেন বোলিং করতে। শুরুতেই ব্যাটিং করাটা খুব চ্যালেঞ্জিং। এদিকে নিউজিল্যান্ড ও তিন দ্রুতগতির পেসার নিয়ে মাঠে নেমেছে। বোল্ট-সাউদির সঙ্গে গতির ঝড় তুলবেন ওয়াগনার।