সবাই অংশগ্রহণ করলে নির্বাচন আরও সুন্দর হতো : আতিকুল

ঢাকা সিটির উপনির্বাচনে সবাই অংশগ্রহণ করলে নির্বাচন আরও সুন্দর হতো বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে উত্তরার আজমপুর এলাকার নওয়াব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। ভোট দেওয়ার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আরও একটি দল থাকলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতো। যারা আসেনি তারা নির্বাচনে আসলে নির্বাচন আরও সুন্দর হতো।’ এ সময় বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে উত্তর সিটির ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানান এই মেয়র প্রার্থী। তিনি বলেন, ‘ভোট গণতান্ত্রিক অধিকার। আপনারা আসুন, ভোট দিন। সুন্দর ঢাকা সাজানোর জন্য আমি আপনাদের ভোট প্রত্যাশী।’ উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে ভোটগ্রহণের পাশাপাশি উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১৮টি করে মোট ৩৬টি ওয়ার্ডে (সম্প্রসারিত) কাউন্সিলর পদে ভোট চলছে। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এদিকে দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বাম গণতান্ত্রিক ফ্রণ্টসহ নিবন্ধিত বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল মেয়র নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় ভোটের উত্তাপ তেমন ছড়ায়নি। সকাল থেকে কেন্দ্রে ভোটারদের তেমন উপস্থিতিও চোখে পড়েনি। তবে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটার বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আনিসুল হকের মৃত্যুর পর উত্তর সিটির মেয়র পদ শূন্য হয়ে পড়ে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন– আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আতিকুল ইসলাম (নৌকা), জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ শাফিন আহমেদ (লাঙ্গল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান (আম), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) শাহীন খান (বাঘ) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুর রহিম (টেবিল ঘড়ি)। ঢাকা উত্তর সিটিতে যুক্ত হওয়া ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১১৬ জন এবং সংরক্ষিত ছয়টি ওয়ার্ডে ৪৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যদিকে, ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১২৫ জন ও সংরক্ষিত ছয়টি ওয়ার্ডে ২৪ জন প্রার্থী রয়েছেন। এদিকে নির্বাচিত মেয়র এক বছরের কিছু বেশি সময় দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাবেন। কাউন্সিলর পদে সাধারণ নির্বাচন হলেও তাদের মেয়াদও হবে মেয়র পদের সমান।