কিডনি রোগীর খাবারদাবার

দেশে প্রায় দুই কোটির বেশি লোক কোনো না কোনোভাবে কিডনি রোগে আক্রান্ত। খাবার-দাবার ব্যাপারে তাই তাদের সতর্ক থাকতে হয়। কিডনি বিকল প্রতিরোধে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, রক্তশূন্যতা চিকিৎসার জন্য রক্তে বিভিন্ন লবণ ও উপাদানের সমতা রক্ষা, শরীরে পানির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ ও বিন্যাস কিডনি বিকল ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সুঠাম স্বাস্থ্যের জন্য খাদ্যের পাঁচটি উপাদান অপরিহার্য। এগুলো হলো-আমিষ, শর্করা, স্নেহ জাতীয় খাবার, ফল-শাকসবজি ও দুগ্ধজাত খাবার। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় এগুলো সমভাবে থাকতে হবে। তবে কিডনি রোগীর ক্ষেত্রে এসবের কিছু ব্যতিক্রম ঘটতে পারে। আমাদের শরীরের কাঠামো তৈরি হয় আমিষ দিয়ে। মাছ, মাংস, ডিম, দুধ এগুলোয় প্রথম শ্রেণির আমিষ থাকে। আবার ডাল ও বিভিন্ন শাকসবজিতেও আমিষ থাকে, যা অসম্পূর্ণ বা তৃতীয় শ্রেণির আমিষ। দেহে ক্রিয়া-বিক্রিয়ার ফলে আমিষ ভেঙে নাইট্রোজেন, ইউরিয়া, ক্রিয়েটিন ইত্যাদি তৈরি হয়। সুস্থ অবস্থায় কিডনির মাধ্যমে এগুলো প্রস্রাবের সঙ্গে নির্গত হয়ে আমাদের বিষমুক্ত রাখে। কিন্তু কিডনি বিকল হয়ে গেলে এগুলো রক্তে জমে অসুস্থ করে তোলে। তা ছাড়া অতিরিক্ত আমিষ রক্তে থাকলে তা কিডনির ছাঁকনির ক্ষতি করে। সেই জন্য দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগীর আমিষ জাতীয় খাবার কম খেতে হবে। নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ। তবেই রোগী সুস্থ থাকতে পারবেন। লেখক : কনসালট্যান্ট, ইউরোলজি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় চেম্বার : সেন্ট্রাল হসপিটাল, গ্রিনরোড, ধানমন্ডি, ঢাকা ০১৭১১০৬৩০৯৩, ০১৯১১৭৬৫১৫০