চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুদক প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজলের সহযোগিতা চাইলেন। গতকাল রবিবার পুরান ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে স্থাপিত বিশেষ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানির পূর্বে এ সহযোগিতা চান। এ ছাড়া গত ধার্য তারিখে তিনি ঘুমে ছিলেনÑ কারা কর্তৃপক্ষের আদালতে প্রচার করা এমন বক্তব্যেরও এ প্রসিকিউটরের কাছে প্রতিবাদ করেন। সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান আইনজীবী প্যানেলে আরও অভিজ্ঞ আইনজীবী বাড়ানোর জন্য আইনজীবীদের বলেছেন। এর আগে এদিন দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটের দিকে খালেদা জিয়াকে হুইলচেয়ারে করে কারা কর্তৃপক্ষ আদালতে হাজির করে। ওই সময় সঙ্গে গৃহকর্মী ফাতেমাও ছিলেন। সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী আদালতকক্ষে প্রবেশের পরই দুদক প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজলের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি খালেদা জিয়ার কাছে এগিয়ে যান। ওই সময় খালেদা জিয়া বলেন, গত ধার্য তারিখে তিনি তৈরি হয়ে বসেছিলেন। কারা কর্তৃপক্ষই তাকে আদালতে আনেনি। উল্টো অপপ্রচার করেছে ঘুমিয়ে ছিলেন বলে। কেমনা কথা হলো। এর পর তিনি তার চিকিৎসার বিষয়ে প্রসিকিউটর কাজলের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, দিন দিন শরীর খুব খারাপের দিকে যাচ্ছে। শরীর কাঁপে, পা নাড়াতে পারেন না। আদালতে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে সমস্যা হয়। চিকিৎসার জন্য রক্ত নিতে যারা তার কাছে এসেছিলেন, তারা তার শিরাই খুঁজে পান না। তার ব্যক্তিগত লোক আছে, যারা এ বিষয়টি ভালো পারেন। তাদের আসার সুযোগ দিলে ভালো হয়। তবে এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি প্রসিকিউটর কাজল। এর পর দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে বিচারক ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমান এজলাসে উঠলে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে আসামি খন্দকার শহীদুল ইসলামের পক্ষে আইনজীবী আসাদুজ্জামান অব্যাহতির আবেদনের শুনানি করেন। তিনি ফ্যাক্ট এবং ল পয়েন্টে ১৫ মিনিট শুনানির পর তার আসামির অব্যাহতি প্রার্থনা করে শুনানি শেষ করেন। এর পর সাবেক প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশারফ হোসেনের পক্ষে আইনজীবী শাহ আলম ১৫ মিনিটে অব্যাহতির আবেদনের ওপর শুনানির পর শেষ করেন। সর্বশেষ আসামি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ তার পক্ষে ল পয়েন্টের শুনানি করেন। ওই সময় তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে নাইকো দুর্নীতির মামলা বাতিলের, খালেদা জিয়ার পক্ষে এয়ারবাস ক্রয়ে দুর্নীতি মামলা বাতিলের এবং ১৯৬৪ সালে বঙ্গবন্ধুর কয়লা আমদানি নিয়ে দুর্নীতির মামলা বাতিলের বিষয়ে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত তুলে ধরে শুনানি শেষ করেন। এরপর খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, জব্দকৃত আলামতের অধিকাংশই আমাদের দেওয়া হয়েছে। কিছু এখনো বাকি আছে, যা পেলে আমরা অব্যাহতির আবেদন প্রস্তুত করতে পারব। তাই আজ সময় দেবেন। সময় সম্পর্কে বিচারক বলেন, চিকিৎসার বিষয়ে আপনাদের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেছেন। এর বাইরে কি আমার যাওয়ার এখতিয়ার আছে? আমি চিকিৎসার বিষয়ে আদেশ দিব এবং আগামী ১৯ মার্চ পরবর্তী শুনানি হবে। উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া আদালতে প্রবেশের পর পরই আদালতে আসা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার পাশে বসেন এবং আদালতের কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত ছিলেন। ওই সময় তিনি চিকিৎসাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। তবে ওই সময়ের মধ্যে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ব্যারিস্টার ফারহানা রুমিন ও জিয়াউদ্দিন জিয়ার সঙ্গেও কথা বলতে দেখা যায়।
সর্বশেষ
সুনামগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
দর্পন টিভি - 0
সুনামগঞ্জের শাল্লায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে উপজেলার জনস্বাস্থ্যের নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদে...