৪৯ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠায় নারায়ণগঞ্জের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলামকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এক মাসের মধ্যে এ মামলার তদন্ত শেষ করতে তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। জানা যায়, ২০১৮ সালের ৭ মার্চ ডিবি পুলিশ নারায়ণগঞ্জ সদর থানার এএসআই মোহাম্মদ সরওয়ার্দীর বাসা থেকে ৪৯ হাজার পিস ইয়াবা ও ৫ লাখ টাকা উদ্ধার করে। পরে এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়। এর পর এই মামলার আসামি নারায়ণগঞ্জ থানার পুলিশ সদস্য আসাদুজ্জামান ও এএসআই মোহাম্মদ সরওয়ার্দী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, এটি তারা নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নির্দেশে করেছেন। তার নির্দেশেই টাকা ও ইয়াবা রেখে আসামিদের ছেড়ে দিয়েছেন। মামলায় আটক পুলিশ সদস্য আসাদুজ্জামানের জামিন শুনানির সময় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিষয়টি হাইকোর্টের উপরোক্ত বেঞ্চের নজরে আসে। তখন ওসিকে কেন এ মামলায় আসামি করা হয়নি তার কারণ ব্যাখ্যা করতে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির মহেদি মাকসুদকে তলব করেন। সে অনুযায়ী, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মেহেদি মাকসুদ হাজির হয়ে হাইকোর্টকে বলেন, এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দিন আজাদকে। পরে হাইকোর্ট সেদিন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে ৪ মার্চ হাজির হতে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী, সোমবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দিন আজাদ হাইকোর্টে হাজির হন। আদালত শুনানি নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে মামলাটির তদন্ত এক মাসে শেষ করতে এবং ওসি কামরুল ইসলামকে সদর থানা থেকে প্রত্যাহারের আদেশ দেন। এ ছাড়া আসামি পুলিশ সদস্য আসাদুজ্জামানের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। পুলিশ সদস্যের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ।
সর্বশেষ
সুনামগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
দর্পন টিভি - 0
সুনামগঞ্জের শাল্লায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে উপজেলার জনস্বাস্থ্যের নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদে...