চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের সোনাপাহাড়ে বিলাসবহুল একটি পাজেরো জিপে (আউটলেন্ডার) মিলেছে ৬শ পিস স্বর্ণের বার। এ সময় স্বর্ণসহ দুজনকে আটক করেছে জোরারগঞ্জ থানাপুলিশ। চট্টগ্রাম শহরের রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে স্বর্ণের বারগুলো ঢাকায় নেওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মশিউদ্দৌলা রেজা। এদিকে নগরীর রেলওয়ে সিআরবি এলাকায় প্রাইভেট কার থেকে ১১ কেজি ৬৬২ গ্রাম স্বর্ণসহ আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা গেছে, গতকাল রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানা এলাকার উত্তর সোনাপাহাড় গ্রামে পুলিশের চেকপোস্টে বড় ধরনের এ স্বর্ণের চোরাচালান ধরা পড়ে। পাজেরোটির (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৮-২১৪৪) ভেতরের সিট পকেটের নিচে বিশেষ কায়দায় স্বর্ণের বারগুলো রাখা ছিল। উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের ওজন ৬০ কেজি, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। স্বর্ণের এ বড় চালানটির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা পৌরসভার আজমপুর গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে রাকিব (৩৪) এবং একই জেলা ও পৌরসভার মোবারকপাড়া গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে করিম খান কালুকে (৩৪) আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ছয়টি মোবাইল ফোন সেট। বিকাল পৌনে ৫টায় চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মশিউদ্দৌলা রেজা জোরারগঞ্জ থানায় উপস্থিত হয়ে স্বর্ণ উদ্ধারের ঘটনার আদ্যোপান্ত জানান স্থানীয় সাংবাদিকদের। তিনি বলেন, ‘স্বর্ণচালানটি সম্পর্কে পুলিশের কাছে ইনফরমেশন ছিল। জোরারগঞ্জ থানাপুলিশের বিশেষ চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহভাজন গাড়ি তল্লাশির সময় বিলাসবহুল আউটলেন্ডার একটি জিপে ৬শ পিস স্বর্ণের বার পাওয়া যায়।’স্বর্ণের চালানটি ঠিক কোথা হতে কোথা যাচ্ছিলÑ এমন প্রশ্নের উত্তরে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে এটি চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিল। তবে আমরা বিষয়টি নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করব।’ মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান বলেন, উপজেলার উত্তর সোনাপাহাড় এলাকায় জিপগাড়ির পেছনের সিটের নিচে তেলের ট্যাংকের ওপর বিশেষ বাক্স বানিয়ে সেখানে ৬শ পিস স্বর্ণের বার নেওয়া হয়েছিল। সেই বাক্সে স্বর্ণের ৬০টি প্যাকেট পাওয়া যায়। প্রতিটি প্যাকেটে ১০টি করে স্বর্ণের বার ছিল। ওসি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে দুুই যুবক জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম স্টেশন রোড থেকে এসব স্বর্ণ তারা ঢাকার বায়তুল মোকাররম এলাকায় হস্তান্তর করার কথা ছিল।তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে সিআরবি এলাকা থেকে উদ্ধার করা স্বর্ণ বারের বিষয়ে সিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (গোয়েন্দা) এসএম মোস্তাইন হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবির একটি দল অভিযান চালিয়ে স্বর্ণের বারগুলো উদ্ধার করে। গ্রেপ্তার কুমার সাহা ও মো. বিল্লাল হোসেন স্বর্ণ পাচারের সঙ্গে জড়িত। জব্দ হওয়া স্বর্ণ বারের ওজন ১১ কেজি ৬৬২ গ্রাম, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন, অবৈধ পথে স্বর্ণের বারগুলো দেশে আনা হয়েছিল। তারা দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম থেকে নানা কৌশলে নারায়ণগঞ্জে স্বর্ণের বার পাচার করে আসছিলেন। তাদের রিমান্ডে এনে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সর্বশেষ
সুনামগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
দর্পন টিভি - 0
সুনামগঞ্জের শাল্লায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে উপজেলার জনস্বাস্থ্যের নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদে...