নিরপরাধ জেনেও জাহালমের জামিনের ব্যবস্থা না করার দায় দুদককেই নিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জাহালমের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ৩৩ মামলার নথি ৯ এপ্রিলের মধ্যে দাখিলেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিনা দোষে তিন বছর জেল খাটার পর এর দায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) না নিতে চাওয়ায় আজ মঙ্গলবার সকালে হাইকোর্ট এই নির্দেশ দেন।জানা যায়, নির্দোষ হয়েও জেল খাটার পর এর দায় নিতে চাচ্ছে না দুদক। বরং এটির দায় চাপাচ্ছে ব্যাংকগুলোর ওপর। দুদক বলছে, জাহালমের জেল খাটার দায় সোনালী ব্যাংকসহ অন্য ব্যাংকগুলোর। কেননা ব্যাংকগুলোই টাকা আত্মসাতের প্রকৃত আসামি ঠাকুরগাঁওয়ের আবু সালেকের পরিবর্তে টাঙ্গাইলের জাহালমকে আসামি হিসেবে চিহ্নিত করে। তবে দুদক স্বীকার করছে যে, জাহালমকে আবু সালেক বলে আসামি করার ক্ষেত্রে সংস্থাটি বিভ্রান্ত ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, ‘ব্যাংক যা–ই বলুক, দুদকের নিজস্ব তদন্তেই সব হওয়ার কথা। ব্যাংক নিজেকে বাঁচাতে ভুল তথ্য দিতেই পারে। যাচাই–বাছাই না করে দুদক কোনো তদন্ত শেষ করতে পারে না। আর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রপতি ছাড়া সবাইকে তার কাজের জন্য জবাবদিহি করতে হয়।’ সোনালী ব্যাংকের সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির ৩৩টি মামলার মূল আসামি আবু সালেক। কিন্তু তার বদলে এ মামলার আসামি হয়ে বিনা অপরাধে প্রায় ৩ বছর কারাগারে বন্দি ছিলেন পাটকল শ্রমিক জাহালম। পরে দুদকের দায়ের করা মামলায় ভুল আসামি জাহালমকে সব অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয় হাইকোর্ট।