প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা থলের বিড়ালকে বেশিদিন আটকে রাখতে পারলেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, সিইসির বক্তব্যের মধ্য দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতের ভোটসহ নানা অনিয়মের ঘটনাগুলো বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। আজ শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন। রিজভী বলেন, ‘প্যান্ডোরার বাক্স থেকে এখন আসল ঘটনাগুলো বের হতে শুরু করেছে। থলের বিড়ালকে আর বেশিদিন আটকে রাখতে পারলেন না প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা। আসলে সত্যকে ঢেকে রাখলেও তাতে লাভ হয় না। সত্য কুহেলিকার আচ্ছাদন ভেদ করে বের হবেই। ’ তিনি আরও বলেন, ‘মিডনাইট নির্বাচনে আসল সত্যটি এখন সিইসি মুখ ফসকেই বলে ফেলেছেন। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া দস্যুতারই নামান্তর। গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে সেই দস্যুতারই আচরণ করেছেন সিইসি। ’ ইভিএম চালু হলে নাকি ভোটের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তির ঝুঁকি কমবে-এমন কথা বলেছেন সিইসি, উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জনগণের হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে কমিশনে ইভিএম মেশিন প্রকল্প অপরিহার্যতা প্রতিপাদন করার জন্যই কি সিইসি ২৯ ডিসেম্বর রাতে ব্যালট বাক্স পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন? একটি প্রকল্পের যথার্থতা প্রমাণের জন্যই আপনি কি সারা দেশের ভোটারদের ভোটাধিকার কেড়ে নিলেন? আপনার ব্রেইন চাইল্ড প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের আমানতকে আপনি কেড়ে নিলেন। ’ তিনি আরও বলেন, ‘আজ আপনার এবং আপনার সহচরদের মুখ দিয়েই আসল সত্যটি প্রকাশিত হতে শুরু করেছে। অথচ আপনি ৩০ ডিসেম্বরের রাত থেকেই সুষ্ঠু নির্বাচনের ঝুড়ি ঝুড়ি গালগল্প শুনিয়েছেন মানুষকে। ’ নুরুল হুদাকে মিডনাইট নির্বাচনের হোতা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘আদর্শগত শূন্যতার কারণে আপনি এত বড় অন্যায়টি করেছেন জনগণের বিরুদ্ধে। এটি অবৈধ সরকারের ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার নীতি বাস্তবায়ন করতেই আপনি মহাভোট কেলেঙ্কারির মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করলেন। আপনার এই বক্তব্যটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হয়ে থাকলো জাতির কাছে। আপনি ২৯ ডিসেম্বর রাতে স্বচ্ছ জালিয়াতি ও মহা কারচুপির ভোট সেরে ফেলেছেন। তবে মনে রাখবেন-পাপ কখনো বাপকেও ছাড়ে না। আমজনতার কাছে আপনাকে জবাবদিহি করতেই হবে।’ গত বৃহস্পতিবার ঢাকা আইনজীবী সমিতির দ্বিতীয় দফা নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, সাত দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয় দফা নির্বাচন নজীরবিহীন। ব্যাপকভাবে জালভোট প্রদানের উদ্দেশ্য নিয়েই প্রথম দফা ও দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে সাতদিনের ব্যবধান করা হয়েছে। ’দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের দিন সন্ত্রাস সৃষ্টি করে বিএনপি প্যানেলের কমিশনার, যে ভোট গণনার দায়িত্বে থাকে, তাকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে একতরফাভাবে ঢাকা জেলা বার সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে জানিয়ে রিজভী বলেন, সরকার এখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনেও মিডনাইট ভোটের পদ্ধতি অবলম্বন করছে। সাধারণ জনগণের মতো বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারাও এখন বঞ্চিত ও লাঞ্ছিত। প্রহসনের পর প্রহসন এবং তামাশার নানা অভিনবত্ব অবলোকন করছে দেশবাসী। সংবাদ সম্মেলনে কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিও দাবি করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
সর্বশেষ
সুনামগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
দর্পন টিভি - 0
সুনামগঞ্জের শাল্লায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে উপজেলার জনস্বাস্থ্যের নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদে...