দেশের সব শ্রেণির ভোক্তার পাশে আছে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। কোথাও ভোক্তার অধিকার ক্ষুণ্ন হলে বিনা বাধায় অভিযোগ করার সুযোগ রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন এ প্রতিষ্ঠানে ফ্যাক্স, ই-মেইল, এসএমএস, ফোন করে অথবা সরাসরি অভিযোগ করারও সুযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, অধিদপ্তরে অভিযোগ করলে অভিযোগকারীর নিজস্ব কোনো আইনজীবীরও প্রয়োজন হয় না। বরং অধিদপ্তর অভিযোগের সমাধান করতে না পারলে প্রতিষ্ঠানটি নিজেই বাদী হয়ে মামলা করে। সারাদেশের বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরে রয়েছে এর অফিস। অধিদপ্তর সূত্র জানায়, সব শ্রেণির ভোক্তাদের মধ্যে নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে তারা বিভিন্ন সময় নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেন। এর মধ্যে লিফলেট, টেলিভিশন, পত্রিকা ও বিভিন্ন ধরনের সেমিনারের মাধ্যমে প্রচার চালানো হয়। এ ছাড়া কেউ অভিযোগ করলে এর ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করে কোনো প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হলে তার ৭৫ শতাংশ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়। বাকি ২৫ শতাংশ অভিযোগকারীকে দেওয়া হয়। এসব কর্মকাণ্ডের ফলে ভোক্তা অধিকার নিয়ে জনসচেতনতা আগের চেয়ে বেড়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা বলছেন, ভোক্তাদের অধিকার পূর্ণাঙ্গভাবে সুরক্ষায় অধিদপ্তরের আরও জনবল, নিজস্ব ল্যাব-গবেষণাগার ও নিজস্ব অফিস প্রয়োজন। জনবল সংকটের সমাধান ও গবেষণাগার থাকলে অনেক সহজেই অভিযোগকারীরা সুফল পাবেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ১৫ হাজার ৪৭৪টি স্থানে অভিযান চালিয়ে অধিদপ্তর জরিমানা আদায় করেছে ৪২ কোটি ৮৯ লাখ ২৩ হাজার ৫৫০ টাকা। এর মধ্যে ভোক্তারা পেয়েছেন প্রায় কোটি টাকা আর সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে ৪২ কোটি ১১ লাখ ২৬ হাজার ৪৯৮ টাকা। অধিদপ্তরের যুগ্ম সচিব ও পরিচালক মো. হারুন-উজ্জ-জামান বলেন, সরকারের নানা উদ্যোগের কারণে ভোক্তারা অনেক সচেতন হয়েছেন। কারণ আগের তুলনায় অভিযোগের সংখ্যা বেড়েছে। আমরা দুভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করি। প্রথমত সরাসরি অভিযানের মাধ্যমে ও দ্বিতীয়ত কেউ অভিযোগ করার পর অভিযান চালানো হয়। এ ছাড়া সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বুধবার অধিদপ্তরের সব অফিসে বিভিন্ন এলাকার ভোক্তাদের নিয়ে গণশুনানি করা হয়। এতে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। একইসঙ্গে লিফলেট, টেলিভিশনে প্রচার করা হয়। পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন বাজার কমিটি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও মতবিনিমিয় করা হয়। ব্যবসায়ীদের বোঝানো হয়, পণ্যে ভেজাল না মেশানো, সঠিক ওজনে পণ্য বিক্রি করা ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি না করার জন্য।
সর্বশেষ
সুনামগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
দর্পন টিভি - 0
সুনামগঞ্জের শাল্লায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে উপজেলার জনস্বাস্থ্যের নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদে...