ইসমাঈল ইমু : সেনাবাহিনী থেকে চাকুরিচ্যুত জঙ্গির মাস্টারমাইন্ড মেজর জিয়া নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। সক্রিয় হলেই ধরা পড়ে যাবে। মঙ্গলবার দুপুরে সিরডাপ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম এ কথা জানান। ব্লগার, লেখক, প্রকাশক হত্যা ও সেনাবাহিনীতে ক্যু করার ব্যর্থ চেষ্টাকারী মেজর জিয়া। মোস্ট ওয়ান্টেড এই আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় ব্লগার, লেখক, প্রকাশকসহ বহু আলোচিত মামলার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হচ্ছে না। ফলে চার্জশীটও দাখিল করতে পারছে না তদন্তকারী সংস্থাগুলো। ঢাকা মহানগর পুলিশ ২০১৬ সালের ১৯ মে ছয় জঙ্গীর ছবি প্রকাশ করে তাদের ধরিয়ে দিতে ১৮ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণাও করেছিল। ছয় জঙ্গীর সঙ্গেই পলাতক মেজর জিয়ার সরাসরি যোগাযোগ থাকার তথ্য পায় গোয়েন্দারা। মেজর জিয়ার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে বাংলাদেশে সব ব্লগার, লেখক, প্রকাশক হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তবে মেজর জিয়া ছাড়াও আরও কয়েকজন এর সঙ্গে জড়িত। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, মেজর জিয়া গ্রেফতার হলে বাংলাদেশের অনেক হত্যা রহস্যের প্রকৃত রহস্য উদঘাটিত হতো। বিশেষ করে এখন পর্যন্ত জঙ্গীদের হাতে হত্যাকান্ডের শিকার হওয়া অধিকাংশ ঘটনার রহস্যের কিনারা হতো। মেজর জিয়ার কারণে অনেক হত্যাকান্ডের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বারবার আদালতের কাছে সময় প্রার্থনা করতে হচ্ছে ঢাকা মহানগর পুলিশ ও ডিবি পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের। শুধু তাই নয়, যুবকদের বিপথে নেয়ার পেছনে প্রকৃতপক্ষে কারা জড়িত, তাদের বিপথগামী করার আদ্যোপান্তও জানা যাবে। প্রসঙ্গত, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হয়েছিল গতবছর মেজর জিয়া গোপনে দেশে এসেছিল দুইমাস পর আবার সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে চলে যান। তবে গোয়েন্দাদের কাছে বর্তমানে তার সম্পর্কে কোন তথ্য নেই।
সর্বশেষ
সুনামগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
দর্পন টিভি - 0
সুনামগঞ্জের শাল্লায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে উপজেলার জনস্বাস্থ্যের নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদে...