জাবের হোসেন : বিশ্বের নিরাপদ শিল্পগুলোর একটি বাংলাদেশের পোশাক শিল্প। বিশ্বসেরা ১০টি পোশাক কারখানার ৭টিই বাংলাদেশে। রানাপ্লাজা ট্রাজেডির পর গত ৬ বছরে পোশাক কারখানায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি একটিও। জিএমইএ সাবেক সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজীম বলেন, কেউ বাংলাদেশের পোশাক শিল্প সম্পর্কে আঙ্গুল তুলে প্রশ্ন করতে পারবে না, কারণ আমরা শিল্পের তালিকায় শীর্ষে রয়েছি। আমাদের মাঝামাঝি পর্যায়ের কারখানারও প্রায় পাঁচ থেকে ছয় কোটি টাকা খরচ হয়েছে নিরাপত্তা নিশ্চিতের যেই যন্ত্রাদি রয়েছে সেগুলো স্থাপন করতে। নিরাপদতম কারখানার স্বীকৃতি মিললেও পোশাকের দামে তার প্রতিফলন নেই। বরং গত ৫ বছরে অন্তত ১০ শতাংশ দাম কমেছে ইউরোপ আর আমেরিকার বাজারে। বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, এতো সবুজ কারখানা রয়েছে কিন্তু সবুজ দাম নেই। কাজেই এই জায়গাটিতে আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। একসাথে যদি আমরা সবাই ঘুরে দাঁড়াতে পারি। যদি এক পা ঘুরে দাঁড়িয়ে বলি আমরা এর কমে বিক্রি করবো না, তাহলে বাংলাদেশের চেহারাটা বদলাবে। আর বেঞ্চমার্ক মূল্য নির্ধারণের বিষয়টা আমরা একটা প্রকল্প হিসেবে নেবো। সংস্কার কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে পোশাক কারখানার শক্ত ভিত্তি তৈরিতে সহায়তা করেছে দুই ক্রেতা জোট অ্যালায়েন্স, অ্যাকর্ড। অ্যালায়েন্স চলে গেলে অ্যাকর্ড আছে অন্তত জুলাই পর্যন্ত। তারপরও যেন কারখানার নিরাপত্তা কার্যক্রমে ঘাটতি না পড়ে সেই তাগিদ দিয়েছেন শিল্পখাত বিশেষজ্ঞরা। সিপিডি গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, সরকারের এককভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিজস্ব লোকবল দিয়ে করাটি দুঃসাধ্য ব্যাপার। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের অধীনে যৌথ উদ্যোগে এবং সরকার সেখানে একটি অভিভাবক হিসেবে থেকে এই কাজগুলো যেন আগামী দিনে তারা অব্যাহত রাখে।
সর্বশেষ
সুনামগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
দর্পন টিভি - 0
সুনামগঞ্জের শাল্লায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে উপজেলার জনস্বাস্থ্যের নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদে...