রানাপ্লাজা ধসের ষষ্ঠবর্ষেই গায়ে আগুন দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ হিমুর

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় আটকেপড়াদের উদ্ধারে অন্যতম কর্মী ছিলেন নওশাদ হাসান হিমু (২৭)। গতকাল বুধবার ছিল ওই ট্র্যাজেডির ষষ্ঠবার্ষিকী। এদিন রাতে নিজ শরীরে আগুন দেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাভারের বিরুলিয়া থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন হিমু। আজ সকালে বিরুলিয়ার শ্যামপুর এলাকার আবদুল হক মোল্লার বাড়ি থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। জানা গেছে, আবদুল হক মোল্লার ওই বাড়িতে একাই বসবাস করতেন তিনি। সাভার মডেল থানা পুলিশ জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে গতকাল বুধবার রাতে নিজ শরীরের কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করেন হিমু। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম সায়েম এ ব্যাপারে বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি হিমু শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন এলে বিষয়টি জানানো হবে।’ উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধসের ভবনে আটকেপড়াদের উদ্ধারে অন্যতম ভূমিকা রাখেন হিমু। ভবনের ভেতর থেকে নিজেই আহত অনেক ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন তিনি। গতকাল ২৪ তারিখ ছিল রানা প্লাজা ধসের ষষ্ঠবার্ষিকী। এদিনই শরীরে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।