গত ২১ এপ্রিল যখন আমরা বাংলাদেশে ইস্টার সানডের প্রার্থনা শেষ করে ঘরে ফিরছি, তখন শ্রীলংকায় ঘটে গেছে ভয়াবহ জঙ্গিবাদী হামলা। এই ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নাতি জায়ান চৌধুরীসহ ৩৫৯ জনের মৃত্যুর খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বব্যাপী। স্তম্ভিত মানুষ তারপর ধীরে ধীরে অনেক সংবাদ জেনেছে। বাংলাদেশের শিশু জায়ানের মতো শ্রীলংকায় বেড়াতে গিয়ে সিরিজ বোমা হামলায় তিন সন্তানকে হারিয়েছেন ডেনমার্কের সবচেয়ে ধনী, বেস্ট সেলার কোম্পানির মালিক আন্দ্রেস হোলচ পোভলেসেন। মৃত্যুবরণ করেছেন পরিবারসহ ছুটি কাটাতে যাওয়া অনেকেই। তাদের মধ্যে ৪৫ জনের বেশি রয়েছে শিশু। ওই হামলায় আহত হয়েছে পাঁচশর বেশি মানুষ। তাদের অনেকেই চিরতরে পঙ্গু হতে পারেন। ইস্টার সানডের প্রার্থনার মধ্যে গির্জা ও হোটেল মিলিয়ে আটটি স্থানে বোমা হামলায় রক্তাক্ত ভারত সাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্রের কলঙ্ক এখন কে ঘোচাবে? কেবল হতাহত মানুষের সংখ্যা বিবেচনাতেই নয়, বরং এর ব্যাপকতার বিচারেও ওই হামলাকে গত এক দশক এবং সম্ভবত গত কয়েক দশকের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলা বলা হচ্ছে। একসঙ্গে সাতটি আত্মঘাতী হামলা চালানোর ঘটনায় স্পষ্ট যে, এটি একটি একক গোষ্ঠীর হামলা এবং অত্যন্ত পরিকল্পিত। অবশ্য দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিবাদী সংগঠন ‘আইএস’। তাদের হামলার অন্যতম লক্ষ্য ছিল খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী ও বিদেশি পর্যটকরা। দিন হিসেবে এমন দিন বেছে নেওয়া হয়েছেÑ যার ব্যাপক ধর্মীয় তাৎপর্য আছে। এমন সব হোটেলে হামলা হয়েছে- যাতে এর অর্থনৈতিক প্রতিক্রিয়া হয় ব্যাপক। উল্লেখ্য, পর্যটনশিল্পে শ্রীলংকা অগ্রগামী একটি দেশ। শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর হার ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিক থেকে এর অবস্থান অনেক উঁচুতে। লেখা বাহুল্য, হামলার ঘটনাদৃষ্টে মনে হয়েছে, এর সবটিই ছিল পরিকল্পিত। সফল হয়েছে সন্ত্রাসীরা। হামলায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৬ বিদেশি রয়েছেন। প্রথমে শ্রীলংকার ‘ন্যাশনাল তওহিদ জামায়াত’ নামের একটি সন্ত্রাসী মতাদর্শ প্রচারক দলকে টার্গেট করে তদন্ত করা হলেও যা সন্দেহ করা হচ্ছিল, ওই গোপন জঙ্গিগোষ্ঠী ও ইন্ধনদাতারা এখন মুখ খুলেছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। অবশ্য ‘আইএস’ কর্তৃক সিরিজ বোমা হামলা ও আত্মঘাতী বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করায় বিশ্ব পরিস্থিতি পাল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ২২ এপ্রিল সৌদিভিত্তিক আল অ্যারাবিয়া টেলিভিশনকে উদ্ধৃত করে যে খবর দিয়েছিল রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা ‘তাস’, তা সত্য প্রমাণিত হয়েছে। ওই হামলার ১০ দিন আগে এক পুলিশ কর্মকর্তা ন্যাশনাল তওহিদ জামায়াত কর্তৃক গির্জার ওপর সম্ভাব্য হুমকির বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। বিষয়টি সেখানকার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহ অবগত ছিলেন না, হয়তো রাষ্ট্রপতি তা জানতেন। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দ্বন্দ্বের সুযোগে উগ্রবাদীরা এ ধরনের অপতৎপরতা চালানোর সুযোগ পেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৬ সালে শ্রীলংকায় বৌদ্ধমূর্তি ভাঙার সঙ্গে ন্যাশনাল তওহিদ জামায়াতের নাম জড়িয়েছিল। দলটির সেক্রেটারি আবদুল রাজিককে বর্ণবাদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে এই উগ্রবাদীরা আইএসের সঙ্গে মিলে গোয়েন্দাদের ফাঁকি দিয়ে কীভাবে দিনের পর দিন নীরবে, নিভৃতে হামলার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করলÑ ওই প্রশ্নটি এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। কারণ শ্রীলংকায় কয়েক দশক ধরে গৃহযুদ্ধ চলেছে। ফলে সেখানকার গোয়েন্দা সংস্থা যথেষ্ট অভিজ্ঞ ও শক্তিশালী। ২০০৯ সালে ওই গৃহযুদ্ধের অবসান হয়, তামিল টাইগাররা পরাজয় মেনে নেয়। এ জন্য তামিলদের ভেতর বিচ্ছিন্নতাবাদী অপতৎপরতার চেষ্টা থাকারও কথা নয়। তা ছাড়া সেখানকার খ্রিস্টানরা অধিকাংশই তামিল। সব মিলিয়ে এখন সন্ত্রাসবাদ নিয়ে গবেষণায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা এই ভয়ঙ্কর ঘটনার পেছনে আন্তর্জাতিক উগ্রবাদিতার সম্পৃক্ততার বিষয়টি সামনে এনেছেন। মন্ত্রিসভার মুখপাত্র রাজিথা সিনারতেœ বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি না দেশের ভেতরের কোনো গোষ্ঠী এই হামলা চালিয়েছে। হামলায় আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক জড়িত। আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ছাড়া এ ধরনের হামলা সফল হতো না।’ আসলে ২৬ বছর স্থায়ী গৃহযুদ্ধের বিভীষিকা কাটিয়ে দেশটিতে যখন এক দশকব্যাপী শান্তি ফিরেছে, তখনই এ ঘটনা মানবতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। ২০০৯ সালের পর শ্রীলংকায় এত বড় রক্তপাত এটিই প্রথম। অবশ্য গৃহযুদ্ধের সময় ১৯৯৫ সালে একই রকম একটি হামলায় মারা গিয়েছিলেন ১৪৭ খ্রিস্টান নাগরিক। কিন্তু দেশটিতে যখন আপাতশান্তি বিরাজ করছে, তখন প্রায় ৩২১ জন নিরীহ নাগরিকের প্রাণহানি, তাও ধর্মীয় উপাসনালয়েÑ হতবাক করেছে পুরো বিশ্বকে। মনে করিয়ে দিয়েছে, বিশ্বব্যাপী ঘটতে থাকা সন্ত্রাসী ঘটনাগুলোয় প্রাণ হারানো মানুষের করুণ মুখচ্ছবি। গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে নামাজের সময় এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ৫১ নিরীহ ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। নির্মমভাবে হত্যাকা-ের শিকার ব্যক্তিদের কোনো অপরাধ ছিল না। যেমনÑ ২০১৬ সালে বাংলাদেশের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হত্যাকা-ের শিকার নিরীহ বিদেশিরা নিরপরাধ ছিলেন। সারা পৃথিবীতে এই একবিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞানের বিস্ময়কর উন্নতির যুগে এসেও ধর্মের সংস্কার মানুষকে উৎকট ও বীভৎস পশুতে পরিণত করেছে। গত বছরের জানুয়ারিতে নাইজেরিয়ার এক মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১১ জনের মৃত্যু হয়। সেখানেও ফজরের নামাজের সময় ঘটনাটি ঘটে। হামলায় মসজিদটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। ২০১৭ সালের নভেম্বরে ধর্মের অপব্যাখ্যাকারী জঙ্গিরা মিসরের সিনাই প্রদেশে জুমার নামাজের সময় মসজিদে হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ৩০৫ জনকে হত্যা করেছে। বর্বর ওই হামলায় আহত হন অন্তত ১৬০ মুসল্লি। সুফি সমর্থকরা নিয়মিত ওই মসজিদে প্রার্থনা করতে আসেন। জিহাদের নামে জঙ্গিবাদ দেশে দেশে সাধারণ মুসলমানদের হত্যা করাকে কর্তব্য হিসেবে বেছে নিয়েছে। ইসলামের নামে জঙ্গিবাদের বিকাশ ঘটিয়ে শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম ইসলাম সম্পর্কে ভুল ধারণা সৃষ্টি করেছে। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের পেশোয়ারে শিয়া মসজিদে তালেবান জঙ্গিদের হামলায় নিহত হন ১৯ জন। একই বছরে দুই সপ্তাহ আগে ওই দেশের সিন্ধু প্রদেশের শিকারপুর জেলার একটি শিয়া মসজিদে হামলায় ৬১ জনের বেশি নিহত হন। ২০১৬ সালের ৪ জুলাই জেদ্দায় আত্মঘাতী হামলা চালানোর পর সন্ধ্যায় মদিনায় পবিত্র মসজিদে নববিতে আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়। এতে মসজিদে নববির চার নিরাপত্তারক্ষী ও হামলাকারী নিহত হয়। একই সময়ে পূর্বাঞ্চলীয় কাতিফ শহরের একটি সিয়া মসজিদেও আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়। এতে হামলাকারী মারা যায়। আফগানিস্তানের একাধিক মসজিদে গত এক দশকে শতাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০১০ সালে ১৫ ব্যক্তি থেকে শুরু করে ২০১৮ সালের নভেম্বরে ২৩ জনের খুন ছাড়াও অসংখ্য মৃত্যুর ঘটনা আছে সেখানকার মসজিদকেন্দ্রিক হামলা ও বিস্ফোরণে। স্পষ্টত দেখা যাচ্ছে, ধর্মে ধর্মে কিংবা একই ধর্মের ভেতর মতাদর্শগত বিতর্কের কারণে মানবসমাজে সম্প্রীতি ও শোষণমুক্ত রাষ্ট্র কাঠোমো ভেঙে পড়ছে। বরং অসত্য, অমঙ্গল, অকল্যাণের রাহুগ্রাস ছেয়ে ফেলছে জীবনকে। ধর্মীয় উগ্রবাদী শক্তির বিরুদ্ধে সর্বধর্ম সম্প্রদায়ের পুরো জনগোষ্ঠীকে জাগ্রত করতে হলে পারস্পরিক সৌহার্দ্য সৃষ্টির বিকল্প নেই। এশিয়ার মধ্যে ভারত, বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার দুই বৃহৎ ধর্ম সম্প্রদায় হিন্দু-মুসলিমের পরস্পর বিভেদে জড়িয়ে পড়েছে বারবার। এর পশ্চাতে আছে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের ইন্ধন। এই সাম্প্রদায়িক বিভেদ সচেতন মানুষকে ব্যথিত করে। প্রতিটি ধর্মের বোধবুদ্ধিসম্পন্ন সচেতন মানুষ হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে সম্প্রদায় নিরপেক্ষ সম্প্রীতি প্রত্যাশা করে। একইভাবে ইউরোপ-আমেরিকায় যে মানবতাবাদের জয় ঘোষিত হয়েছিল, তা কয়েকটি জঙ্গিবাদী সংগঠনের তৎপরতায় বিনষ্ট হতে চলেছে। এ জন্য মানবধর্মের চর্চা আরও বেগবান করার সময় এসেছে। পবিত্র বাইবেলে রয়েছে, “মন্দের পরিশোধে কারো মন্দ করো না। সব মানুষের দৃষ্টিতে যা উত্তম, ভেবে-চিন্তে তা-ই করো। যদি সাধ্য হয়, তাহলে তোমাদের যত দূর হাত থাকেÑ মানুষ মাত্রের সঙ্গে শান্তিতে থাকো। হে প্রিয়রা, তোমরা নিজেরা প্রতিশোধ নিও না, বরং ক্রোধের জন্য স্থান ছেড়ে দাও। কারণ লেখা আছে, ‘প্রতিশোধ নেওয়া আমারই কাজ। আমিই প্রতিফল দেব’Ñ এ প্রভু বলেন। তুমি মন্দের দ্বারা পরাজিত হবে না। কিন্তু উত্তমের দ্বারা মন্দকে পরাজয় করো।” অর্থাৎ পাপীকে নয়, পাপকে ঘৃণা করতে হবে। মন্দকে উত্তমতা দেখানো, প্রতিশোধ না নেওয়ার মতো শিক্ষাগুলোকে একসঙ্গে গ্রহণ করা দরকার। আসলে একবিংশ শতাব্দীতে মানবতা, বহুমাত্রিক ঐতিহ্য-পরম্পরা, বহুত্ববাদী সংস্কৃতি ও সাম্যচিন্তা আমাদের সমাজব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসেবে গণ্য হচ্ছে। এই বৈশিষ্ট্য ধরে রাখার জন্য দরকার সামাজিক স্থিতিশীলতা। অসহিষ্ণু পৃথিবীর ধর্মীয় মৌলবাদিতা দূর করার জন্য মানুষে মানুষে মৈত্রীর বন্ধন দৃঢ় করা জরুরি। আর এ জন্যই দরকার বিভিন্ন ধর্ম সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ। অবশ্য বর্তমান বিশ্বে ধর্মের উদার বাণীগুলো পৃথিবীর সর্বত্রই বারবার ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। হত্যা করা হয়েছে অসংখ্য নিরীহ ব্যক্তিকে। ২১ এপ্রিল সন্ত্রাসী হামলায় কেবল শ্রীলংকা আক্রান্ত হয়নি, আক্রান্ত হয়েছে পুরো বিশ্ব। ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্ত্রাসীরা কোনো নির্দিষ্ট দল, মত বা ধর্মের নয়। তাদের একটাই ধর্মÑ সন্ত্রাস। সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য কোনো নির্দিষ্ট মানুষ বা ধর্ম নয়। তাদের লক্ষ্য মানবতাকে নিশ্চিহ্ন করে ত্রাসের রাজ্য প্রতিষ্ঠা করা। তাই সারাবিশ্বের মানবতাকামী মানুষকে এক হয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে এবং প্রতিবাদ জানাতে হবে ঘৃণ্য হিংস্রতার বিরুদ্ধে। শ্রীলংকায় ইস্টার সানডেতে গির্জায় হামলা আমাদের মনে করিয়ে দিল, একের ধর্ম বিশ্বাস অন্যের বিশ্বাসের সঙ্গে বিভেদ সৃষ্টি না করে পরস্পরে প্রীতিসঞ্চার করার উদ্যোগ গ্রহণ করা আজ জরুরি। নিজের ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিপাদনে ব্যস্ত পৃথিবীর মানুষ অন্য ধর্ম বিশ্বাসীর ধর্মীয় আচার-আচরণকে সম্মান করে নিজেদের মধ্যে সুসম্পর্কের বিকাশ ত্বরান্বিত করবেÑ এটিই তো কাম্য। অনগ্রসর কিংবা নিপীড়িত মানুষের পাশে থাকা এবং মানুষে মানুষে সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠা মানব ধর্মের অন্যতম কাজ। দায়বদ্ধতা, সাহস ও উদারতা দিয়ে আমাদের নতুন বিশ্বসমাজ গড়ে তুলতে হবে। কারণ বিশ^সমাজ পরস্পর পরস্পরের প্রতি সহমর্মিতা অনুভব করছে শ্রীলংকায় সিরিজ বোমা হামলার পর। অর্থাৎ স্বতন্ত্র ও ভিন্নতা সত্ত্বেও মানুষ বহুত্ববাদে বিশ্বাসী, একত্রে থাকতে আগ্রহী। প্রকৃতপক্ষে অমানবিক সমাজ ও রাষ্ট্রে মানবতা দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। আজ বিশ্বজাগতিক ভ্রাতৃত্ব আমাদের ঐক্যসূত্রে বেঁধেছে। এ জন্য সামাজিক জীবনে একে অন্যের প্রতি প্রীতি-মমতা প্রদর্শন করতে হবে। ধর্মের ভিন্নতা ঈশ্বরেরই দান এবং এ পরিচয় সবাই মেনে নিয়েই বেঁচে থাকি। ভিন্নতার মধ্যে ঐক্যের সুর বাজে প্রাণে। এ কারণে ধর্মীয় উগ্রবাদিতা তথা সন্ত্রাসী হামলার পরিসমাপ্তি চাই আমরা। য় ড. মিল্টন বিশ্বাস : অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ এবং পরিচালক, জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
সর্বশেষ
সুনামগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
দর্পন টিভি - 0
সুনামগঞ্জের শাল্লায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে উপজেলার জনস্বাস্থ্যের নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদে...