নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার মনোহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বর্তমানে নানা সমস্যায় জর্জরিত। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, শ্রেণিকক্ষের সংকট, বৈদ্যুতিক ফ্যান না থাকাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত। পাঠদান ব্যবস্থা দিনদিন মুখ থুবড়ে পড়েছে। বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে বারান্দায় মাদুর বিছিয়ে সারিবদ্ধভাবে বসিয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বারবার জানানোর পরও কোন সমাধান মেলেনি। জানা গেছে, উপজেলার একডালা ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামে অবস্থিত মনোহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৯৯১ সালে স্থানীয় কিছু শিক্ষানুরাগী তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩৩ শতাংশ জমি ক্রয় করে স্থানীয় ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে স্থাপন করা হয়। ১৯৯৫ সালের ১৬ জানুয়ারিতে বিদ্যালয়টি রেজিস্টার্ড হলে ২০০২ সালে তিনকক্ষ বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করা হয়। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত সরকারি বরাদ্দে আর কোন নতুন ভবন নির্মাণ হয়নি। ফলে শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠগ্রহণের জায়গা এখন মাদুরে। তিন কক্ষ বিশিষ্ট পুরাতন ভবনে প্রতিদিন বিদ্যালয়ের প্রায় ১০২ জন শিক্ষার্থী পাঠ গ্রহণ করে। প্রতি কক্ষে চারটি করে ফ্যান থাকার কথা থাকলেও রয়েছে দুটি করে। তাই প্রচণ্ড গরমের সময় গাদাগাদি করে শিশুদের বসানোর কারণে পাঠদানের সময় মাঝে-মধ্যে ছাত্র-ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। অভিভাবক এনামুল হক ওবায়দুলসহ বেশ কয়েকজন বলেন, ‘আমাদের এই বিদ্যালয়টি অনেক সমস্যায় জর্জরিত। পুরাতন ভবনের কারণে আমরা সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর পর আতংকেই থাকি। শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট করে বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষা গ্রহণ করে। বিদ্যালয়টির উপযুক্ত পরিমাণ জায়গা থাকলেও সরকারি বরাদ্দে নতুন ভবন না পাওয়ায় শ্রেণিকক্ষ সংকটে রয়েছে বিদ্যালয়টি। সরকার যদি একটি আধুনিক মানসম্মত নতুন ভবন নির্মাণ করে দিতো তাহলে বারান্দায় মাদুরে বসে আমাদের সন্তানদের আর শিক্ষাগ্রহণ করতে হতো না।’ প্রধান শিক্ষক ফজলার রহমান বলেন, ‘আমরা অনেক কষ্ট করে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাই। এলাকার অনেক মানুষ বিদ্যালয়ের এমন অবস্থা দেখে তাদের সন্তানকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে চায় না। শ্রেণিকক্ষ সংকট, বেঞ্চের সংকট, জরুরি কাগজপত্র রাখার জন্য নেই পর্যাপ্ত পরিমাণ আসবাবপত্র। এই সব সমস্যার কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে পাঠদানের পরিবেশ। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে স্থানীরা।’ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এমএ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ওই বিদ্যালয়ে অবকাঠমোগত কিছু সমস্যা রয়েছে। শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য বিদ্যালয়ের যাবতীয় সমস্যা চিহ্নিত করে ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর জানানো হয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
সর্বশেষ
সুনামগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
দর্পন টিভি - 0
সুনামগঞ্জের শাল্লায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে উপজেলার জনস্বাস্থ্যের নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদে...