মহামারি করোনাভাইরাস শুরুর পর থেকে রপ্তানি খাতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। এর প্রভাব পড়েছে সৌদি আরবে হিমায়িত মাছ রপ্তানি খাতেও।
সৌদি আরবে বাংলাদেশি হিমায়িত মাছের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও জোগান কম থাকায় বাজার ধরতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। তবে সরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ নিলে দেশটিতে হিমায়িত মাছের বাজার দখল করা সম্ভব বলে মনে করছেন প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।
সৌদিতে মাছ রপ্তানির জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেশটির ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অথরিটিতে নিবন্ধিত হওয়া বাধ্যতামূলক। প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা প্রস্তুত করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠায় সৌদি কর্তৃপক্ষ। তবে প্রবাসী আমদানিকারকদের অভিযোগ, দেশের সরকারি কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণেই কমেছে মাছ রপ্তানি। হারাতে হচ্ছে বাজার।
আরও পড়ুন: ইরানে হিজাবকাণ্ড নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ৫
সৌদি আরবে বাংলাদেশের নদ-নদী, খাল–বিল, হাওড়–বাঁওড় ও পুকুরের মাছের ব্যাপক চাহিদা। প্রবাসী বাংলাদেশিরাই মূলত এসব মাছের ভোক্তা। কয়েক বছর আগেও দেশটিতে রফতানি হতো বিপুল পরিমাণ মাছ। মন্ত্রণালয় তৎপর হলে দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরবে সবশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরে রফতানির পরিমাণ ছিল ৫০ লাখ ডলারের বেশি। এর মধ্যে মোট রফতানির ৯৯ শতাংশই মাছ।
দর্পন টিভি/জেএ